নিউজ ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরে বেঁধে রাখার আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছরের বেশি কেন নয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আপনাকে বলতে হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় ওমর ফারুক এ কথা জানতে চান। যদিও স্মরণসভায় সৈয়দ আশরাফ উপস্থিত ছিলেন না।
২০ নভেম্বর সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত না থাকার তার পক্ষে প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আপনাকে বলতে হবে- কেন এদেশের যুব সমাজ দেশের সম্পদ না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যাচ্ছে। আমরা জানতে চাই।উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশ নানাভাবে প্রশংসিত হচ্ছে, কিন্তু উন্নত বিশ্বের চাকরির প্রক্রিয়ার দিকে নজর দিচ্ছে না। বিশ্বের অনেক দেশেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন নিয়ম বদল হবে না?
ওমর ফারুক বলেন, সরকারি চাকরিতে বয়সের বেড়াজালে তরুণরা চাকরি পাচ্ছেন না। চাকরি না পাওয়ার কারণে তারা তাদের প্রেমিকাকে হারাচ্ছেন। যাদের সঙ্গে তাদের বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল সেই বিয়েও ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কল্পনাশক্তি ভালো, কিন্তু সে কল্পনার পথ অনেক সময় মানুষকে ভুল স্থানে পৌঁছে দেয়। এ দেশে ২৭-২৮ বছরের আগে শিক্ষা জীবন শেষ হয় না। এরপর চাকরিতে আবেদন করতে করতেই সময় চলে যায়, তাদের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ কই? এদেশের যুবসমাজ চাকরি চায় না। মেধা প্রমাণের সুযোগ চায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি।
এমটিনিউজ/এসএস