নিউজ ডেস্ক : সন্ত্রাসের পথ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী জেহাদি জনের স্ত্রী। বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত তানিয়ার সঙ্গে জনের আলাপ হয়েছিল ন’য়ের দশকের শেষদিকে। পরিচয় থেকে প্রেম এবং প্রেম থেকে বিয়েতে বেশি সময় লাগেনি।
তানিয়া জানিয়েছেন, ধর্ম নিয়ে আগ্রহ থাকার কারণেই তাদের মধ্যে ভাব জমে উঠেছিল। তবে ধর্ম নিয়ে কোনও গোঁড়ামি ছিল না তানিয়ার। এরই মধ্যে সন্ত্রাসবাদী হয়ে সিরিয়া চলে যান জন। তারপর থেকেই শুধু জেহাদির স্ত্রী না হয়ে থেকে নিজের পরিচয় বানাতে চাইছিলেন তানিয়া।
তিনি বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম একটা নতুন পরিচয়। আমি চেয়েছিলাম ধার্মিক হতে। এরই মধ্যে কয়েকজন কট্টরপন্থী আমার ধ্যানধারণা পাল্টে দিয়েছিস। ওরা আমাদের অত্যাচার নির্যাতনের ভয়াবহ সব ছবি দেখাত। সেগুলো আমার মন জুড়ে থাকত। আমাকে ভীষণ কষ্ট দিত। মনে হতো আমাদের সম্প্রদায়ের প্রতি আমাদের একটা কর্তব্য আছে। তাই জেহাদের দিকে ঝুঁকে পড়ি।’
এক বান্ধবীর মৃত্যুও তাকে জেহাদের দিকে আকৃষ্ট করেছিল বলে জানান তানিয়া। তবে পুরো ছবিটা পাল্টে যায় তানিয়া মা হওয়ার পরে। সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে অবাধ যাতায়াতের সুবাদে বাড়িতে অস্ত্রের আনাগোনার অভাব ছিল না তানিয়ার। একদিন ছেলেকে একটি গ্রেনেড দেখে চমকে ওঠেন তানিয়া।
ঠিক করেন সন্তানদের এই হানাহানির থেকে দূরে রাখবেন। তানিয়া বলেছেন, ‘আমি যখন এই পরিবেশ থেকে দূরে সরে আসতে চাই, তখন জন আমাকে আটকায়নি। বরং পালাতে সাহায্য করেছিল।’ বর্তমানে আমেরিকায় এসে নতুন করে ঘর বেঁধেছেন তানিয়া। ফের বিয়ে করেছেন এবং সন্তানদের নিয়ে সুখেই আছেন।
এমটিনিউজ/এসএস