নিউজ ডেস্ক : পোপ ফ্রান্সিস ঢাকায়ও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করলেন না। তবে পোপ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পাশে দাড়াতে। বঙ্গভবনে সুশীল সমাজ ও কুটনীতিক প্রতিনিধিদের সামনে দেয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান পোপ।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোকে রাখাইন রাজ্য থেকে শরণার্থীদের বিরাট ঢল সাদরে গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশিরা। এতে বাংলাদেশি সমাজের উদারতা ফুটে উঠেছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছেন তারা। জীবন ধারণে প্রয়োজনীয় মৌলিক সহায়তা দিয়েছেন। আর বাংলাদেশিরা এটা করেছেন সারা বিশ্বের সামনে।’
এর আগে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে বঙ্গভবনে পৌঁছান পোপ ফ্রান্সিস। তিন দিনের সফরে বিকেল তিনটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাভারের স্মৃতিসৌধে যান তিনি। সেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে ধানমন্ডির ৩২নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও কূটনীতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন পোপ।
শুক্রবার স্বাধীনতার স্মৃতি বিজরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৮০ হাজার পূণ্যার্থীর উপস্থিতিতে প্রার্থনা সভা ছাড়াও খ্রিস্টান যাজক এবং যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে তার। নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও পোপের সাক্ষাৎসূচি রয়েছে। এছাড়া সফরের তৃতীয় দিন কাকরাইল চার্চে সর্বধর্মীয় সভায় বক্তব্য দেবেন। পরিদর্শন করবেন তেজগাঁও গির্জা। এদিন বিকালেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
১৯৭০ সালে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ১৪ দিন পর ২৬শে নভেম্বর তৎকালীন পোপ ষষ্ঠ পল ফিলিপাইনে যাওয়ার পথে বাংলাদেশে এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। আর পূণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় এবং পালকীয় সফরে ১৯৮৬ সালের ১৯শে নভেম্বর পোপ দ্বিতীয় জন পল বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
এমটিনিউজ/এসএস