নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল চারটা ২০ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সদ্যপ্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে শনিবার দুপুরে তার বনানীর বাড়িতে উপস্থিত হন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার বিকাল ৩টায় আর্মি স্টেডিয়ামে তার মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর থেকে আনিসুল হককে শেষ শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ও সর্বস্তরের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। জানাজার পর বনানী কবরস্থানে ছেলে মোহাম্মদ শারাফুল হকের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন মেয়র আনিসুল হক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, “নির্দলীয় অবস্থান থেকে স্থানীয় সরকার যে চালানো যায়, উন্নয়ন করা যায়, সেটা তিনি রেখে গেছেন।”
ব্যবসায়ী আনিসুল হক দুই বছর আগে আকস্মিকভাবেই রাজনীতিতে পা রেখে আওয়ামী লীগের হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হন। দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুল হক। লন্ডন থেকে শনিবার দুপুরে দেশে আসে আনিসুল হকের মরদেহ।
মরদেহ বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে নেওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেখানে যান। তখন বিএনপির প্রতিনিধি দলটিকেও সেখানে দেখা যায়। আমীর খসরু বলেন, “আনিসুল হক শুধু ব্যবসায়িক জীবনে নয়, সব কাজ পরিচালনায় তিনি নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করে গেছেন। সততা, যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও সাহসী ভূমিকার মাধ্যমে যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান চালানো যায়, সেই স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন।”
এমটিনিউজ/এসএস