শনিবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৫:৪৫:০৪

মায়ের পাশে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন আনিসুল হক

মায়ের পাশে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন আনিসুল হক

নিউজ ডেস্ক : প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হয়েছে।

এর আগে শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসায় যান। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।

এর আগে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল চারটা ২০ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
 
এর আগে সদ্যপ্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে শনিবার দুপুরে তার বনানীর বাড়িতে উপস্থিত হন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।  

শনিবার বিকাল ৩টায় আর্মি স্টেডিয়ামে তার মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর থেকে আনিসুল হককে শেষ শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ও সর্বস্তরের বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

উল্লেখ্য, আনিসুল হক লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিটে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে পরলোক গমন করেছেন। গত ২৯শে জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ই আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর শরীরে মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ শনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা। এরপর তাকে দীর্ঘদিন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে মেয়রের শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তার কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র খুলে নেওয়া হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার মেয়রের পরিবারের একজন সদস্য বলেন, রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে আবার আইসিইউতে নেয়া হয়। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়রকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি, ব্যবসায়ী ও একসময়কার টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব আনিসুল হক ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

তিনি ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার শৈশবের একটি বড় সময় কাটে ফেনীর সোনাগাজীর নানার বাড়িতে। আশি ও নব্বইয়ের দশকে টিভি উপস্থাপক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন আনিসুল হক।

তার উপস্থাপনায় ‘আনন্দমেলা’ ও ‘অন্তরালে’ অনুষ্ঠান দুটি জনপ্রিয়তা পায়। তবে পরে টেলিভিশনের পর্দায় মানুষ তাকে বেশি দেখেছিল ব্যবসায়ী নেতা হিসেবেই।

২০০৫-০৬ সালে বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল মেয়াদে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন আনিসুল হক।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে