নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সফররত রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাত করলেও দেখা হয়নি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি অথবা পোপের পক্ষ থেকে সাক্ষাত অনুষ্ঠানের কোন আগ্রহও প্রকাশ করা হয়নি।তার এই সফরসূচি বেশ আগে প্রণয়ন করা হয়। তাতে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের কোন কর্মসূচীও রাখা হয়নি।
রাষ্ট্রপতি , প্রধানমন্ত্রী ও রোহিঙ্গা পরিবারের বাইরে ধর্মীয় নেতাদের সাথে সাক্ষাত এবং ধর্মীয় প্রার্থনাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আজ শনিবার সফরের শেষদিনে পোপ ফ্রান্সিস মাদার টেরিজা হাউজ পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা বলছেন, পোপ হলেন ধর্মীয় গুরু। তিনি রাজনৈতিক কোনও এজেন্ডা নিয়ে এখানে আসেননি। কেবলমাত্র ধর্মীয় কারণে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। একজন ধর্মীয় নেতা হওয়ার কারণে পোপ ফ্রান্সিসের রাজনৈতিক বিষয়ে ভূমিকা রাখার অবকাশ নেই।
তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করতে বাংলাদেশে আসেননি। ফলে তার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়নি।কেউ আগ্রহও দেখাননি।
বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন, পবিত্র মক্কা-মদিনার ইমামরা যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখনও বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সাথে দেখা করতে চায়নি। তাহলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর সাথে সাক্ষাত করার প্রসঙ্গ কেন গুরুত্ব পাবে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পোপ একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর গুরু।তিনি রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছেন। ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির প্রধান হলেও খ্রিস্টান ধর্মগুরু হিসেবেই তার পরিচিতি। পোপ রাষ্ট্রপ্রধান হলেও নির্বাচনে অথবা রাজনীতিতে তার ভূমিকা রাখার কথা না।
এছাড়া বেগম জিয়া সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রীও নন। এসব কারণে পোপের সঙ্গে দেখা করা বা না করার কোনও বিষয় নেই। এদিকে জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, পোপের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি পোপ নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন। তার এই সফর মূলত: একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে।এখানে রাজনীতিকে টেনে আনাটা অবান্তর।
এমটিনিউজ/এসএস