হাসান আহমেদ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশ পর্বের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি নতুন সঙ্গীতায়োজনে গেয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৯ শিল্পী। তারা হলেন নচিকেতা, শুভমিতা, রুপঙ্কর, জয়তী চক্রবর্তী, ইমন চক্রবর্তী, তপন সিনহা, তিমির, চায়না ব্যানার্জি ও সুমনা।
গানটির প্রথম দশ লাইন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। গানটির দ্বিতীয় লাইনে ‘ওগো আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি’ গেয়েছেন ‘প্রাক্তন’ চলচ্চিত্রের ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ দিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ইমন চক্রবর্তী। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়েছে দুই দেশেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় কোথাও ‘ওগো’ শব্দটি নেই। পাশাপাশি গানটির সুরেও বিভ্রান্তির অবকাশ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি কিংবা গানটিও শুনিনি। দেখে শুনে বলতে পারব।
তবে তিনি বলেন: আমাদের জাতীয় সঙ্গীত মূল সুরে না কিন্তু। কিছুটা সরলীকরণ করা। বিশেষ করে সুচিত্রা মিত্র যেভাবে গাইতেন সেটাকেই আরেকটু সরল করেছিলেন সমরদা। তবে শব্দ বদলের কোন যুক্তি নেই। সুচিত্রাদি পুরোপুরি মূল সুরে গাইতেন না।
গানটিতে ভুলের বিষয়ে ইমন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘শিল্পী কখনও জেনেশুনে কোন দেশের জাতীয়তাবাদকে আঘাত করে না। আমার গাওয়াতে যদি শব্দগত কোন ভুল থাকে সেটি অনিচ্ছাকৃত। তারপরও ভুল থেকে থাকলে আমি রিডাবিং করে ভুল শুধরে নেবার জন্য প্রস্তুত আছি। অডিও প্রতিষ্ঠান চাইলে যে কোন সময় রিডাবিং করে দেব আমার অংশ। তবে গানটির সঙ্গীত আয়োজক এবং অডিও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনুগ্রহ করে কথা বলে নেবেন।’
গানটির সঙ্গীত আয়োজন করেছেন তিমির সিনহা। এটি কি মূল সুরের সঙ্গীতায়োজন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাকে সুর দেওয়া হয়েছে, আমি সে অনুযায়ী সঙ্গীতায়োজন করেছি। এর বেশি কিছু জানি না।
গানটি অ্যালবাম হিসেবে বের করেছে ভারতের আশা অডিও। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মহুয়া লাহিড়িকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। গানটির ভিডিওগ্রাফি নিয়েও বিতর্ক আছে। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ব্যবহার হলেও কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।-চ্যানেল আই
এমটি নিউজ/আ শি/এএস