গোলাম মাওলা রনি : মেয়র আনিসুল হকের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগের জন্য বিরাট এক চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যাদের নাম আসছে তারা হলেন প্রয়াত মেয়রের স্ত্রী অথবা পুত্র, জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী, আওয়ামীলীগের পর্দার অন্তরালের প্রভাবশালী নেতা আলাউদ্দিন এ নাসিম এবং আরো অনেকে।
শাসকদলের নীতি নির্ধারনী বলয়ে উল্লেখিত নাম সমুহ কিরূপে বিবেচিত হচ্ছে তা আমি বলতে পারবো না। কিন্তু একটি অত্যন্ত নির্ভর যোগ্য সূত্র থেকে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে যা জানলাম তা আমাকে রীতিমতো কৌতুহলী করে তুলছে।
আলোচিত সেই ব্যক্তিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বানিয়ে চমক সৃষ্টি করা হতে পারে যিনি কিনা ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে ষাটের দশকে তুখোড় ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন এবং উত্তাল সেই দিন গুলোতে ঢাকা কলেজ থেকেই জয় বাংলা শ্লোগান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে যার উদ্ভাবক ছিলেন তিনি নিজে।
ভদ্রলোক রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্ত্রহাতে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করেন এবং কর্মজীবনে সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি সংস্থাপন সচিব হিসেবে অবসর নেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক ফেডারেশন এর সভাপতি রূপে কর্মরত রয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তা থাকার কারনে এবং কট্টর আওয়ামী পন্থী আমলা হবার অভিযোগে বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে তাকে নিদারুন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তিনি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মাহবুবুল আলম হানিফ এবং শেখ হেলালের ঘনিষ্ট আত্মীয় ছাড়াও শেখ কামালের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন।
যাকে নিয়ে এতো কথা বললাম তার নাম এ. এস. এম আলী কবির। আমি যা শুনেছি তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করলাম কেবলমাত্র ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে আলোচনায় একটু বৈচিত্র আনার জন্য।
-সাবেক সাংসদ রনির ফেসবুক থেকে।
এমটিনিউজ/এসএস