বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মূখে বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করে উন্নয়ন সহযোগীরা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন, সুশাসন ও জ্বালানি সংস্কার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ঘটনায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম সম্মেলনে বিভিন্ন অধিবেশনে তারা এসব কথা জানিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়ন সহযোগীরা অনেকে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রশংসা করেছে। তবে এ ধারা বজায় রাখার জন্য দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীল রাখার ওপর গুরত্ব দিয়েছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি হত্যার সমালোচনা করেছেন তারা।
জাপানের প্রতিনিধি স্পষ্ট জানিয়েছেন, উন্নয়ন কাজের জন্য নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নয়ন সহযোগীরা যদি নিরাপদে কাজ করতে না পারে তাহলে শুধু উন্নয়ন কাজ নয়, দেশের ভাবমূর্তির ওপর অনেকটা এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে বাংলাদেশে এ জাপানি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডে সরকারের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে কেউ কেউ বাংলাদেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টি তুলে আনেন। প্রসঙ্গক্রমে তার বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। তা না হলে অনেক ক্ষেত্রে সরকার সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারে।
বাংলাদেশকে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেশ হিসেবে অভিহিত করে কোনো কোনো উন্নয়ন সহযোগী প্রতিনিধি বলেন, এখনো অবকাঠামো ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়ে গেছে। বিশেষ করে বিনিয়োগের জন্য জমির অপ্রতুলতা এখনো বিদ্যমান। এর পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। সরকার যে অনেক ইকনোমিক জোন গঠন করেছে তাতে দেশি-বিদেশি আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন উন্নয়ন সহযোগীরা।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় বলে সরকারের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ বাংলাদেশের সার্বিক অথনীতির গতিধারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০২১ সালের আগেই মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছাতে সক্ষম হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে তা উন্নয়ন সহযোগীদের জানানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। একই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনও কাজ করে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আগামীতে যেন এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে তা নিয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, যারা এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর বলে উন্নয়ন সহযোগীদের আশ্বস্ত করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
১৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি