সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:০৭:২৫

‘লোডশেডিং নামক শব্দটি বাংলাদেশে নেই’

‘লোডশেডিং নামক শব্দটি বাংলাদেশে নেই’

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মানুষ লোডশেডিং নামক শব্দটি ভূলে গেছে ।বাংলাদেশে লোডশেডিং নামক শব্দটি এখন বাংলাদেশে নেই। সারাদেশে ৭৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। ২০১৮ সালে ৯০ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে শত ভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হবে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে। এছাড়া দেশে বর্তমান গ্যাসের মজুত ২০৩১ পর্যন্ত চলবে, অর্থাৎ আর ১৬ বছর পর দেশে কোনো গ্যাসের মজুত থাকবে না। গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, দেশের প্রাথমিকভাবে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ছিল ২৭১ দশমিক ১২ টিসিএফ। এ পর্যন্ত ১৩ দশমিক ০৩ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে ১৪ দশমিক ০৮ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। গত অর্থবছরে ৮৯০ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। সে হিসাবে গ্যাস উত্তোলনের হার অপরিবর্তিত থাকলে আরও ১৬ বছর মজুতকৃত গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে সরকারিভাবে বছরে ২০ হাজার মেট্রিক টন বোতলজাত এলপি গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এক লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার আমদানিনির্ভর এলপি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টে উৎপাদন শুরু হবে। প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ৫ হাজার মেগাওয়াট। আর বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নেই, যেটা হচ্ছে তা বিদ্যুৎ ঘাটতি নয়। ঠিক সময়ে বিদ্যুৎ ডিসবার্জ করার ঘাটতি থাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত পেতে হলে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণ হচ্ছে চাহিদা দ্রুত বেড়ে যাওয়া। যখন গ্রাহক দেখছেন বিদ্যুৎ যাচ্ছে না তখন তারা ফ্রিজ, রাইস কুকারের মতো ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছেন। মসজিদে এসি লাগানো হচ্ছে। সরকারের এসব নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখন ৭৫ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। ২০১৮ সালের মধ্যে তা ৯০ শতাংশে উন্নীত হবে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হবে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে। বাকি ২০ শতাংশ হবে অফ গ্রিড লাইন অর্থাৎ সোলার প্যানেলসহ অন্যান্যভাবে। ১৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে