সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:২৪:১১

একই বাড়িতে ভাইয়ের পর বোনের প্রেম, অতঃপর

একই বাড়িতে ভাইয়ের পর বোনের প্রেম, অতঃপর

নিউজ ডেস্ক : যে বাড়িতে প্রেম করতে গিয়ে ভাই হাজতবাস করেছে সেই বাড়ির ছেলের সাথেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারণার শিকার হয়েছে বোন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, বানিয়াচঙ্গের তোপখানা গ্রামের রবিউল আলমের পুত্র মাসুদ মিয়া (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চাপরতলা গ্রামের মনির উদ্দিনের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সুবাদে মনির উদ্দিনের কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ওই বাড়ির লোকজন। পরে নারী নির্যাতন মামলায় দায়ের করলে মাসুম প্রায় ৬ মাস হাজত খাটে। অপরদিকে মনির উদ্দিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগের সুবাদে রাজমিস্ত্রী মাসুমের কলেজ পড়ুয়া বোন হেনা বেগম মাহমুদার ভাই শরীফ উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সম্প্রতি শরীফ উদ্দিন দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসলে তার পরিবারের লোকজন তাকে অন্যত্র বিয়ে করানোর জন্য কন্যা খোঁজাখুজি শুরু করেন।এ খবর হেনা বেগমের কাছে পৌঁছলে হেনা বেগম শরীফ উদ্দিনকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু শরীফ উদ্দিন জানায়, তার মা-বাবা এ বিয়েতে রাজি নন। গত শুক্রবার শরীফ উদ্দিনকে খবর দিয়ে হবিগঞ্জ শহরে নিয়ে আসে মাসুম মিয়ার বোন। শনিবার মাসুম মিয়া ও তার লোকজন শরীফ উদ্দিনকে হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন পৌরসভা এলাকায় এক অ্যাডভোকেটের চেম্বারে এনে হেনার সাথে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে দেন। সেখান থেকে বের হয়ে মাসুম মিয়াসহ নবদম্পতি শিরীষতলা এলাকায় গেলে সদর থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় আটক হেনা বেগম জানায়, তার সাথে শরীফের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ সম্পর্কের সুবাদে শরীফ নিজের বাড়ি ছেড়ে তার কাছে ছুটে এসেছে। পরবর্তীতে শরীফের সম্মতিক্রমে আমরা বিয়ে করি। আমি শরীফকেই চাই। এদিকে গতকাল সন্ধ্যার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হলে শরীফকে তার পরিবারের লোকজন ও হেনা বেগম ও তার ভাই মাসুমকে তাদের পরিবারের লোকজন থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ১৬ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে