সোমবার, ০৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৮:২৮:০৩

কীভাবে আমি এমপি দেবো, যার বয়সই এক বছর হয়নি : মান্না

কীভাবে আমি এমপি দেবো, যার বয়সই এক বছর হয়নি : মান্না

নিউজ ডেস্ক: আইন করে দিলেন একজন এমপি দলের থাকলে তাইলে হয়ে যাবে, আমাদেরও এমপি আছে। তিনি নির্বাচন করেছেন আওয়ামী লীগ থেকে। নাগরিক ঐক্য থেকে কীভাবে আমি এমপি দেবো, যার বয়সই এক বছর হয়নি। নির্বাচন কমিশন একেবারেই রুটিন ওয়ার্ক করছে। তারা নতুন কোনো কাজ করছে আস্তা অর্জন করার মতো বলা যাচ্ছে না। বোঝাতে গেলে তারা বোঝেও না। সরকারের বাইরে যেয়ে তারা কিছু করছে না। নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলাপকালে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এই সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমার দলের নিবন্ধ নেই। নির্বাচন কমিশন বলছে ১০০টা থানার ২০০ জন করে সমর্থক সদস্য দেখাতে হবে। দেখালাম। দেখানোর পরে তারা আবার বেরিফাই করবে। বিএনএফসহ রেজিস্ট্রার্ড অনেক দলের কার কী আছে আমরা জানি। সমর্থক তালিকায় যার নামটা গেল তাকে যদি ক্ষমতাশীন দলের লোকেরা বলে খবরদ্ধার কথা বলতে পাবরি না বা নির্বাচন কমিশনই যদি উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে, তারা যদি বলে তুমি সত্যিই করো, না কি জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছে। তখন কি জবাব দিবে।
তিনি বলেন, কমিশন বলছে সব জায়গায় অফিস দেখাতে হবে। কমিটি দেখাতে হবে। অফিসও করলাম। এখন বাড়ার রিসিট বা ভাড়ার চুক্তিপত্রে সই দেখাতে হবে। মাহমুদুর রহমান মান্নার রাষ্ট্র্রদ্রোহী মামলা আছে, সই করবে কেউ। আমি কাকে ভোট দেব আগে বলবো কেন? আমরা এই অফিসে ৫ বছর ধরে আছি, একটা চুক্তিপত্র দিতে হবে, তাদের বলেছি। তারা বলছে, এই অফিসের মালিক শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। তারা বলছে, আমরা একটা রাজনীতিক দলের সাথে চুক্তি করবো, আমরা আবার কোন বিপদে পড়ি। কমিশন বলছে, ২১ জেলা কমিটি, ২০ হাজার সদস্যের সমর্থকÑ এগুলো সবই দেখাতে পারবো। মাহমুদুর রহমান মান্না সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়নি। শ্লোগান দিয়ে মার খেয়েছি, পুলিশের দাবড়ানি খেয়েছি, ওয়াল রাইটিং করেছি।

নির্বাচন কমিশন এই সরকার বানিয়েছে। সেটা করেছে আবার চালাকি করে। নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত কোনো পজেটিভ কাজ করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়নি। আস্তার কথা তো দূরে থাক অনাস্তার কাজই তারা বেশি করেছে। নির্বাচন কমিশন অনেক কাজ করেছে যা সংবিধান বিরোধী। রাজনীতি বিকাশের পরিপন্থী।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লা যে ভোট হয়েছে ১২টা সেন্টার দখল করেছে আওয়ামী লীূগ। সিল মেরেছে, তারপরও জিততে পারেনি। ৭৩ সনে ২ সেটেম্বর ডাকসুর নির্বাচন হয়েছিল, মাহবুব জহুর ভিপি দাঁড়িয়েছিলেন, আমি তখন জাসদ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রথম ব্যালট বাক্স ছিনতাই হলো। এই ইতিহাস মানুষ ভুলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রসফায়ারও আওয়ামী লীগ করেছে। প্রথম ব্যালট বাক্স ছিনতাইও আওয়ামী লীগ করেছে। সিরাজ শিকদারকে তারা হত্যা করেেছ। আমি যেহেতু সেক্রেটারি বুথে যেতে পারতাম। জহুর হল তাদের দূর্গ বলে পরিচিত, সব টেবিলের উপর আওয়ামী ছাত্রলীগের প্যানেল। হেঁটে যখন যাচ্ছি দেখলাম, উপরে তাদের প্যানেল নিচে আমাদের প্যানেল। ওই নির্বাচনেও জহুর হলে আমরা জিতেছি। যা এইবার কুমিল্লায় হয়েছিল। বুকে নৌকার ব্যাচ জিতেছে ধানের শীষ। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটবে। সব নৌকার ব্যাচ লাগাবে ভেতরে সব ধানের শীষে ভোট দিবে। এ জন্যই তারা একটা প্রকাশ্য ভালো ভোট দিতে রাজি হচ্ছে না।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে