বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৩৯:৫৫

'বাবার হাত থেকে আমাকে বাঁচান' ফেসবুকে রক্তাক্ত তরুণের আর্তনাদ!

'বাবার হাত থেকে আমাকে বাঁচান' ফেসবুকে রক্তাক্ত তরুণের আর্তনাদ!

নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে জুলফিকার সিদ্দিক নামে এক ইংরেজি মাধ্যমে পড়া তরুণ নিজের বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাঁকে বাঁচানোর আহবান জানিয়েছেন। এসময় ওই তরুণ নিজেকে অসহায় দাবিকে করে বলেন, 'আমার নির্যাতনকারী বাবার অত্যাচারের হাত থেকে মাকে রক্ষা করতে চেয়ে কারো সমর্থন পাইনি, এখনো পর্যন্ত আমি আক্রমণের শিকার।'

জুলফিকার বলেন, 'আমার শৈশব থেকে এ অবস্থা দেখছি। তিনি সবসময় মাকে প্রহার করেন। এ অত্যাচার মৌখিক ও শারিরীক দু'ভাবেই করা হয়। আমি ভীষণ ভয় পেতাম। তাই, কখনোই এ বিষয়ে প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু আর না!'

অভিযোগ করে জুলফিকার বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, নেবেও না। এখন আমি আমার বাবার বিষয়ে কিছু বলতে চাই, তিনি নোংরা মানসিকতার লোক, আমি যে ছবিগুলো দিয়েছি সেগুলোই এর প্রমাণ বহন করে।

তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অভিযোগ করে জুলফিকার বলেন, তিনি (পিতা) নারকীয়ভাবে আমার ওপর হামলা করেন এমনকি হত্যা করতেও উদ্ধত হন। আমি আমার ঘর থেকে বের হতে চাইলে তিনি বটি দিয়ে আমাকে কোপানোর চেষ্টা করেন। তিনি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাই পুলিশ কিছুই করতে পারে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন রেখে ওই তরুণ বলেন, আমার মাকে রক্ষা করতে কিছুই কি করা সম্ভব নয়? আমার মা একজন মুক্তিযোদ্ধার বোন। কয়েক দশক ধরে ওই জালেম লোকটির কবল থেকে রক্ষা পেতে ও বাঁচতে তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। আমার মামা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার নাম- মোক্তারউদ্দিন আজাদ। আনিসুল হকের লেখা ‌'মা' বইতে তার নাম আছে। ওইখানে আমার মায়ের নামও উল্লেখ করা আছে।

সকলের সাহায্য চেয়ে জুলফিকার বলেন, প্লিজ, আমাকে সহায়তা করুন। আপনাদের সহযোগিতা আমার প্রয়োজন। সরকারের কাছে আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার মা ও আমার ওপর চালানো বর্বরতার কষ্ট আমি আর বহন করতে পারছি না। এটা আমার জন্য একধরণের নরকবাস।

তরুণ জুলফিকার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্যের সাথে তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। ও লেভেল পড়ুয়া ওই তরুণের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না গেলেও তার পোস্টটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে