ঐকমত্যে ভারত-বাংলাদেশ
নিউজ ডেস্ক : সন্ত্রাস দমনে তথ্য আদান-প্রদান এবং উভয় দেশের জেলে আটক বন্দিদের বিনিময়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও বাংলাদেশ।
সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতেও উভয় দেশ একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের নেতৃত্বে ১৮ সদস্য এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব মেহর্ষীর নেতৃতে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা বন্ধে উভয় দেশের নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমানায় নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে দুই দেশের নাগরিকদের আরো জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের নাগরিকরাই অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয় না, ভারতের নাগরিকরাও সেই পথে আসে। ভারতের নাগরিকরাও এ নিয়ম অমান্য করছে। গত বছর তাদের আটজন নাগরিক মারা গেছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতকে আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছি, ভারতের সংগঠিত কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ বাংলাদেশে নেই। লুকিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সন্ধান ভারতের কাছে নেই । তবে সন্ধান পেলে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয় বৈঠকে।
স্বাধীনতার পর সচিব পর্যায়ের এটি ১৭তম বৈঠক। অতীতের অন্যান্য বৈঠকের চেয়ে এটি সফল ও সন্তোষজনকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান সচিব। এ বছর ১৯৭৪ সালের সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে ।
বাংলাদেশ ও ভারতের সচিব পর্যায়ে দুই দিনব্যাপী বৈঠকের প্রথমদিন সোমবার দুপুরে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার জন্য বিভিন্ন এজেন্ডা নির্বাচন করা হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। সূত্র : বাসস
১৭ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম