মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৫৩:০০

মেডিকেলে প্রশ্নফাঁসে গণতদন্ত কমিটির পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ

 মেডিকেলে প্রশ্নফাঁসে গণতদন্ত কমিটির পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ

নিউজ ডেস্ক : মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে গঠিত গণতদন্ত কমিটি পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ করেছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটি এ সুপারিশ করে। গণতদন্ত কমিটি সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে গড়ে উঠেছে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে টিকে থাকতে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পাওয়ার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন ও যোগ্য শিক্ষার্থীর প্রয়োজন ছিল। কমিটি ৩০ অক্টোবর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বক্তব্য, অনুসন্ধান, সাক্ষাৎকার, ফেসবুক ও অনলাইন থেকে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির ১১টি ধাপের ছয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিভাগে হয়ে থাকে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যথাযথ নজরদারি না হলে প্রশ্নপত্র পাচার হওয়ার আশঙ্কা এখানেই সবচেয়ে বেশি। মেধাক্রমে এগিয়ে থেকেও অপেক্ষমাণ তালিকায় পরীক্ষার্থীর নাম থাকা, শুধু পাস নম্বর পেয়েও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সম্মিলিত তালিকায় সেই ক্রমিক নম্বর থাকা, একই নম্বর পাওয়া একাধিক পরীক্ষার্থীর এলোমেলো মেধাক্রম পরীক্ষা পদ্ধতির অসঙ্গতির বিষয়টি স্পষ্ট করে। এছাড়া ঢাকা, সলিমুল্লাহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও বারডেম মেডিকেল কলেজে ভর্তির চেষ্টা করেছে— এমন ১২ জন শিক্ষার্থীকেও শনাক্ত করেছে কমিটি। কমিটি প্রতিবেদনে ফেসবুকের যে পেজটিতে ১৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়া হয়, যে ই-মেইল ঠিকানা থেকে প্রশ্ন বিনিময় হয়েছে, সেগুলোর নমুনা দিয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কমিটি জানায়, ৫ নভেম্বর পর্যন্ত যেকোনো দিন যেকোনো জায়গায় সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দিয়েছিল তারা। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখন এসব জায়গায় পৌঁছানো হবে বলে জানানো হয়। কমিটির সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ কামাল, মোশাহিদা সুলতানা ও সামিনা লুৎফা, চিকিৎসক ফজলুল হক ও শাকিল আক্তার, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফিদা হক, শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু এবং লেখক-সম্পাদক রাখাল রাহা। ১৭ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে