শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৩৪:২৮

আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

উমর ফারুক আলহাদী : পথে পথে চাঁদাবাজি ও পশুবাহী ট্রাক ছিনতাইয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের যোগসাজশে এসব চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন। দেশের প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে চলছে এ চাঁদাবাজি। কোরবানির ১৯টি পশু ভর্তি একটি ট্রাক ইতোমধ্যে গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকা থেকে ছিনতাই হয়ে গেছে। রাজশাহী থেকে নোয়াখালীগামী ওই ট্রাকটি ১৯টি গরুসহ জয়দেবপুরের মীরের বাজার এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গরু ভর্তি ট্রাক পথে পথে থামিয়ে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি।

শামসুল আলম নামে এক ট্রাক ড্রাইভার গতকাল উত্তরায় ১১ নং চৌরাস্তার মোড়ে কোরবানির পশুরহাটে আলাপকালে বলেন, দিনাজপুর থেকে ঢাকায় আসতে কমপক্ষে ২৫টি স্পটে চাঁদা দিতে হয়। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির চেয়েও ভয়াবহ নাজুক অবস্থা রাস্তার নিরাপত্তা। গরুসহ ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যে গত ৪ দিনে গাজীপুর, রাজশাহী, টাঙ্গাইল এবং যশোর থেকে রাজধানীতে আসার পথে পশুবাহী ৫টি ট্রাকভর্তি গরু ছিনতাই হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা আরেক বেপারি দুলাল মোল্লা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা আসতে অন্ততঃ ২৪টি স্পটে চাঁদা দিতে হয়েছে। স্পটভেদে ১০০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। তিনি আরো জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ্বরোড মোড়, শিবগঞ্জ, রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী, চারঘাট, জুলনপুর, খড়খড়ি, বগুড়া শহরের চেকপোস্ট, যমুনা সেতুর আগে রায়পুরসহ অনেক স্থানে চাঁদাবাজদের হাট বসেছে। এর মধ্যে শিবগঞ্জসহ কমপক্ষে তিনটি স্পটে ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হচ্ছে।

গরু বেপারিদের অভিযোগ, এখনো পশুর হাট শুরুই হয়নি। তার আগেই চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে। তারা বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় এক ট্রাক গরু আনতে ট্রাক ভাড়া লাগছে কমপক্ষে ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। এর বাইরে পথে-পথে চাঁদা গুনতে হচ্ছে ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই চাঁদার অঙ্ক আরও বেশি। এছাড়া ঢাকায় ঢুকেও আরেক দফা গুনতে হয় চাঁদা। রাজধানীর বাবুবাজার ব্রীজ এলাকায় তিনটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকে ১০০ টাকা করে মোট ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে বলে জানান একাধিক গরু ব্যবসায়ী।

এ ছাড়া হাট এলাকায় গরু নামানোর সময়ও নির্দিষ্ট হারে গুনতে হয় চাঁদার টাকা।ব্যবসায়ীরা জানান,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের কর্তাব্যক্তিদের নির্দেশ অমান্য করে সড়কে পশুবাহী ট্রাক আটক করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। পথে-পথে পশুবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এই চাঁদাবাজদের তালিকায় পুলিশও রয়েছে। শুধু পুলিশ একা নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় গরুবাহী একটি ট্রাক আসতে পথে-পথে চাঁদা দিতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের। বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নামেও চাঁদা তোলা হচ্ছে।

কোরবানির গরুবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কালে গত শুক্রবার বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকার শেরপুর সড়ক থেকে দুই চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা হলো আসাদুজ্জামান নূর ওরফে অনন্ত ও মাহমুদ হাসান। গত কয়েক দিন ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী কোরবানির গরুবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করছিল তারা।

এছাড়া, কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে গরুবাহী ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রংপুরের মাহিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই আবদুল হককে গত সোমবার প্রত্যাহার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গরুবাহী দু’টি ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করছিলেন তিনি।এছাড়া উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত চরাঞ্চলে কৃষকের গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটছে অহরহ।

কোরবানির পশুসহ পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই, ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজিতে এখন অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। রাজশাহী, টাঙ্গাইলের চন্দ্রা, বগুড়া, দিনাজপুর, গোয়ালন্দ ঘাট, আরিচা ফেরিঘাট, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কে চাঁদাবাজি চলছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চাঁদাবাজি চলছে। এ নিয়ে চরম শঙ্কায় পশু ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। শুধু চাঁদাবাজিই নয়, রাস্তা-ঘাটে ডাকাতি, দস্যুতা নিয়েও তারা চরম ভীতির মধ্যে রয়েছেন। পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পশু ব্যবসায়ীদের বলছেন, এবারের চাঁদাবাজি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

বিশেষ করে পশুবাহী ট্রাকগুলো চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। মালিক-শ্রমিক নেতারা বলেছেন, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি এবং রাস্তাঘাটে যথেষ্ট নিরাপত্তা প্রদানের আশ্বাস দিলেও তাদের শঙ্কা কাটছে না।বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী খান বলেছেন, চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধে ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রী ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের সাথে তারা কয়েকটি বৈঠক করেছেন।

এখন পর্যন্ত পশুবাহী যানবাহনের মুভমেন্ট ওভাবে শুরু হয়নি। তবে ইতোমধ্যে পশুবাহী ট্রাক কোরবানির পশুর হাটে আসতে শুরু করেছে। পথে পথে ট্রাক আটক করে চাঁদাও আদায় করা হচ্ছে।গত ৭ সেপ্টেম্বর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া রাস্তায় কোরবানির পশুবাহী কোনো ট্রাক থামাবে না পুলিশ। এমনকি কাগজপত্র পরীক্ষার অজুহাতেও পশুবাহী ট্রাক যাতে থামানো না হয়।

এ ব্যাপারে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাকচালকরা বলছেন, তাদের চাঁদা দিতেই হচ্ছে। পুলিশও রাস্তায় গাড়ি থামানোর জন্য সংকেত দিচ্ছে। গতকাল রাজশাহীর ট্রাকচালক মামুন অভিযোগ করে বলেন, রংপুর থেকে গরু নিয়ে আসার পথে প্রথমেই মিঠাপুকুরে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ২০০ টাকা চাঁদা দিয়েছেন।

এরপরে গভীর রাতে বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুলিশ তাকে থামিয়ে ২০০ টাকা আদায় করে। বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের আওতায় চাঁদা দিতে হয়েছে দু’শ’ টাকা। টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় পুলিশকে ২০০ টাকা দিয়েই পার পেয়েছেন তিনি। রাজধানীর গাবতলীতে শহীদ নামের এক ব্যবসায়ী জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা মোড়ে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রতিটি পশুবাহী ট্রাকে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা চাঁদা আদায় করছে।

অন্য এক গুরু ব্যবসায়ী তৌহিদুল বলেন, চান্দুরায় (চন্দ্রা) আমারে জোর কইরে গাড়ি থেকে নামাইছে। আমি স্যারগো (পুলিশকে) বলছি যে আমি টিভিত দেখছি, বড় স্যারে গাড়ি থামাইতে মানা করছে। স্যাররা (পুলিশ) আমাক কইছে, এখানে মামলা দিলে পরে তোকে কে বাঁচাবে।

দেবীগঞ্জ থেকে আসা ট্রাকচালক মতিউর বলেন, রংপুরের মিঠাপুকুরে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাত-দিন পুলিশ গাড়ি নিয়ে বসে থাকে। সেখানে টাকা দিতেই হয়। এবারও তিনি দু’ শ’ টাকা দিয়েছেন। বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুলিশ ট্রাক থামানোর চেষ্টা করলে তিনি থামাতে চাননি। লাঠি দিয়ে আঘাত করে পুলিশ তার নতুন ট্রাকের দরজায় গর্ত করে ফেলেছে। গাড়ি থামানোর পরে আরও কয়েকজন ট্রাকচালক মিলে হইচই করে পার পান। তিনিও বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে দু’শ’ টাকা দিয়েছেন বলে জানান।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা ব্যবসায়ী মান্নু মিয়া বলেন, কুষ্টিয়ায় পুলিশকে ১০০ টাকা, ঝিনাইদহে পুলিশকে ১০০ ও শ্রমিক সমিতিকে ১০০ টাকা, আর ঘাটে দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিতে সিরিয়ালের জন্য ২০০ টাকা আর পুলিশকে ১০০ টাকা দিতে হয়েছে। তবে ঘাট পার হয়ে কোথাও কোনো টাকা দিতে হয়নি।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোরবানি এলে দেখা যায়, একটি পশুবাহী ট্রাক দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঢাকায় আসতে ৮-১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। ঘাটে ঘাটে রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ, মাস্তান এবং কোথাও কোথাও মালিক-শ্রমিকদের নানা সংগঠনের নামে এই চাঁদা আদায় হয়।

দিদার নামে এক পশু ব্যবসায়ী গতকাল রাজধানীর উত্তরায় কোরবানির পশুর হাটে বলেন, পশুবাহী গাড়িতে যে চাঁদাবাজি হয় তার মূল শিকার পশু ব্যবসায়ীরা। একটি গরুভর্তি ট্রাক ঢাকায় আসতে ৭ হাজার টাকা চাঁদা গুনতে হয়। হাটে গিয়ে এই টাকা ক্রেতাদের ওপর দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেন। অনেকে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন চাঁদাবাজির।

বলেছেন, পথে পথে পশুবাহী গাড়ি থামিয়ে পুলিশের কিছু সদস্য চাঁদা আদায় করে।জানা যায়, পথে-পথে চাঁদাবাজি ও ভারতীয় গরুর স্বল্পতার কারণে এবার কোরবানির পশুর দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গরু ব্যবসায়ী, হাট ইজারাদার ও গরু পরিবহনের সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলেন, একে এবার ভারতীয় গরুর আমদানি অনেক কম, তার ওপর চাঁদাবাজি। এ দুই কারণে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম চড়া হতে পারে। তাদের মতে, চাঁদাবাজি ঠেকাতে পারলে দাম কিছুটা কম হতে পারে।এদিকে রাজধানীর ১১টি কোরবানি পশুর হাটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে পাঁচটি হাট অধিক ঝুঁকির তালিকায় আছে।

এসব হাটকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে। একারণে নিরাপত্তা নিয়েও হুমকির মধ্যে আছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। ওই ১১ টি ঝুঁকিপূর্ণ হাটের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের একটি তালিকা তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। তালিকার অধিকাংশই সরকারি দলের স্থানীয় নেতাকর্মী। এবারই প্রথম বেশকিছু কোরবানির পশুর হাটকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।গত বুধবার বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। একই সঙ্গে তারা গরুর হাটকেন্দ্রিক চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের তালিকাও জমা দিয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকা মহানগর পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, শুধু চাঁদাবাজি নয় যে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দমন করতে পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ কমিশনার বলেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ ছাড়াও ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাছে।

সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদুল আজহায় ঢাকায় মোট ২৩টি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ১০টি, উত্তরে ৫টি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭টি হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর বাইরে গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে অস্থায়ী পশুর হাটগুলো বসার অনুমতি দিয়েছে। তবে এর আগেই এসব অস্থায়ী হাটে গরু আসতে শুরু করেছে।-ইনকিলাব
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে