নিউজ ডেস্ক : অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ২০১৮ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা বৃহষ্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এবার এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ এবং ছাত্রী ১০ লাখ আট হাজার ৬৮৭ জন। তত্ত্বীয় পরীক্ষা বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ মার্চ।
এবার ১০টি বোর্ডের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৮ হাজার ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
সাধারণ আট বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৭৮ জন। এখানে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া দাখিলে পরীক্ষার্থী রয়েছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন। এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে সিটে বসতে হবে। এরপর আর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
কেন্দ্র সচিব ব্যতিত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না, এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরণের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসবি