বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:৪০:২৪

দু'জনেরই ফাঁসি হবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে

দু'জনেরই ফাঁসি হবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে

নিউজ ডেস্ক: রায় কবে কার্যকর হবে তার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত না পেলেও একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই হবে। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চে এ দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসিই হবে শেষ ফাঁসি। এরপর নতুন বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় কারাগারটি চলে যাবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে। নাজিমুদ্দীন রোডের মোগল স্থাপনার এ ঐতিহাসিক কারাগার রূপ নেবে কারা জাদুঘরে। কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্রে এমন আভাসই পাওয়া গেছে। কারা কর্তৃপক্ষের কিছু কার্যক্রমেও মিলেছে সেই আভাসের সত্যতা। সাকা আর মুজাহিদকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তারা। নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী এতদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১-এ বন্দি ছিলেন। অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে গত রোববার রাতে তাকে আনা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরপর থেকে এ যুদ্ধাপরাধী কনডেম সেলে বন্দি। আর এর আগে থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি '৭১-এর কুখ্যাত আলবদর প্রধান মুজাহিদ। কারাগারের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই যুদ্ধাপরাধীর রিভিউ খারিজের বিষয়ে আপিল বিভাগের আদেশ কারাগারে পৌঁছেনি। তবে কারা কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় কারাগারেই দু'জনের ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কারাগারের একটি সূত্র জানায়, একই কারাগারে প্রায় একই সঙ্গে দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করতে কারা কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বেড়ে গেছে। আগেভাগে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কারা কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ফাঁসির মঞ্চ ঘুরে দেখেছেন কারা কর্মকর্তারা। সাকা আর মুজাহিদের গলায় ফাঁসির রশি পরানো আর সেই রশিতে সংযুক্ত হাতলে টান দিতে ডাক পড়েছে জল্লাদদেরও। বিভিন্ন কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জড়ো করা হচ্ছে অভিজ্ঞ কয়েক জল্লাদকে। অবশ্য গত দু'দিন ফাঁসির মঞ্চে হয়েছে নিয়মিত মহড়াও। ফাঁসির মঞ্চ দুটি চূড়ান্তভাবে ধোয়া-মোছার কাজও আজকের দিনের শুরুতেই শেষ করে রাখতে চান কারা সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, জল্লাদ দিয়ে ফাঁসির মঞ্চে মহড়া দেওয়া কারাগারের নিয়মিত কাজের অংশ। এটা নিয়মিতই করা হয়। তবে আদালত এবং সরকারি আদেশ পালনে তারা সব সময়ই প্রস্তুত থাকেন।-সমকাল ১৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে