বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:৪৯:৫০

'গুডস হিল' ফাঁকা

'গুডস হিল' ফাঁকা

নিউজ ডেস্ক: সাকা চৌধুরীর পৈতৃক বাসভবন চট্টগ্রাম নগরীর গলি বেকারি সংলগ্ন 'গুডস হিল' এখন ফাঁকা। এক সময় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের আনাগোনায় সব সময় সরগরম থাকত এ ভবন। এখান থেকেই চট্টগ্রামে নিজের সবকিছু পরিচালনা করতেন সাকা চৌধুরী। গতকাল রায় ঘোষণার পর সেখানে গিয়ে দেখা গেছে গেটে তালা। ভেতরে দু'তিনজন কর্মচারী ছাড়া কেউ নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সাকার গুডস হিলের বাড়িটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফলে এ বাড়িটি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। গতকাল রায় ঘোষণার পর সংবাদকর্মীরা ওই বাড়িতে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ফটকের ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে ভেতরের চিত্র দেখার চেষ্টা করেন। সদরঘাট থেকে গুডস হিল দেখতে এসেছিলেন সিটি কলেজের ছাত্র মো. রাশেদ। তিনি বলেন, 'শুনেছি এখানেই মুক্তিযোদ্ধাদের অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাই দেখতে এলাম। কিন্তু ভেতরে ঢোকার তো উপায় দেখছি না।' তখন সেখানে উপস্থিত একজন মুক্তিযোদ্ধা পাহাড়ের টিলার দিকে আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে বলেন, 'ওইখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে নির্যাতন আর হত্যা করা হয়। এটা বধ্যভূমি। তাই এখানে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর নির্মাণ করা হোক।' গণপূর্ত ও সওজ কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকা 'অর্কনীড়'র বিপরীতে গুডস হিলের প্রধান ফটকটির সাদা রঙে মরিচা পড়েছে। সেন্ট্রি বক্স, ঘন সবুজ গাছপালা সবই আছে কিন্তু জৌলুসটা নেই। যেন মৃতপুরী, ভূতের বাড়ি। কে বলবে এ বাড়িতে থাকতেন দাম্ভিক এক রাজাকার। যিনি একাত্তরে রাউজানের কুশ্বেরী মন্দিরে প্রার্থনারত অধ্যক্ষ নূতন সিংহকে হত্যা করেছিলেন, কুশ্বেরী গ্রাম, জগতমল্লপাড়া ও ঊনসত্তরপাড়ায় নারকীয় তা চালিয়েছেন। চট্টগ্রাম শহরের অলিগলি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের এখানে ধরে এনে নির্যাতন করেছেন। ফটকে দায়িত্বরত দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সিসিটিভি ক্যামেরা দেখিয়ে বলেন, 'আমি কিছু বলতে পারব না।' ফাঁসির রায়ের কথা জানেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি কিছু শুনিনি। টেলিভিশন দেখার সুযোগ হয়নি।' শুধু ফটকের সামনে খুঁটিতে নয়, চতুর্দিকে গাছের সঙ্গেও লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ফাঁসি কার্যকর হলে সাকা চৌধুরীর লাশ কোথায় দাফন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সাহেবদের কারও কবর গুডস হিলে দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি মাইজ্জ্যা মিয়াকেও (সাকার মেজ ভাই) রাউজানে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছিল।'-সমকাল ১৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে