নিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের পর দেশের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ বিভিন্ন প্রকার প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করেছেন।
এই রায় নিয়ে চার দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করেছেন। নিন্মে তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট এমটিনিউজের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো:
“টিভির পর্দাতে অনেক আওয়ামী সাংবাদিক আর বুদ্ধিজীবী এই মামলা আর রায়ের যথার্থতার ব্যাপারে অনেক যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি শুধু এতটুকু বলব যে কোন মামলাতে যদি বিন্দু পরিমান রাজনৈতিক প্রভাব থাকে তাহলে সেই মামলার সকল কার্যক্রম এবং রায় সবই বেআইনি এবং ন্যায়বিচার পরিপন্থি।
দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুধে করা এই মামলা কি একশতাংশ না একশ শতাংশ রাজনৈতিক তার বিচারের ভার বাংলাদেশের জনগনের। এই মামলাতে কতখানি রাজনৈতিক প্রভাব আছে তা বিভিন্ন মন্ত্রীর আগাম বক্তব্য আর কারাগারের সাজশজ্জা দেখলেই বোঝা যায়। সরকারের মুখে আইনের শাসনের কথা শুনলে সিনহা সাহেবের ভেগে যাবার কথা মনে পরে।
এত উঁচু মাপের রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আদালতের কলমের খোঁচা কিংবা কোন নির্বাহী আদেশ নির্ধারণ করে না, আল্লাহ তালা নির্ধারণ করবে জনগনের মাধমে সঠিক সময়ে। ধিক্কার এই রায়কে।”
উল্লেখ্য, রায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।
বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, মীর নাসির উদ্দীন, নিতাই চন্দ্র রায়, সানাউল্লাহ মিয়া, আজিজুর রহমান খান বাচ্চু, আমিনুল ইসলাম ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ উপস্থিত রয়েছেন।
এ ছাড়া দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মান্নান, মীর আবদুস সালাম প্রমুখও উপস্থিত হয়েছেন। বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন ৮ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করে।
এমটিনিউজ/এসবি