শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ১১:০৬:৪০

দ্বিতীয়বারের মত স্থগিত হওয়া ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

দ্বিতীয়বারের মত স্থগিত হওয়া ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক : গত ১৪ জানুয়ারি নিয়োগ কার্যক্রম অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দ্বিতীয়বারের মত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিধান ও সেবার মহান ব্রতে নিজেকে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এই বিজ্ঞপ্তিতে ৮৫০০ জন পুরুষ ও ১৫০০ জন নারী সর্বমোট ১০ হাজার জনকে রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। তাদেরকে শারীরিক মাপ, লিখিত, মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

এর আগে, গত ২১ ডিসেম্বর এই পদে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

আগ্রহী প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষাসহ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে তাদের নিজ জেলাস্থ পুলিশ লাইন্স এ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ উপস্থিত থাকার আহবান করা হয়েছে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:
প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ।

শারীরিক যোগ্যতা ও বয়স সীমা

পুরুষ প্রার্থী:
ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।
বুকের মাপ স্বাভাবিক ৩০ ইঞ্চি ত এবং স্ফীত ৩৩ ইঞ্চি।
০১/০১/২০১৮ খ্রি. তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮-২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। ।

মহিলা প্রার্থী:
ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি ।
বুকের মাপ স্বাভাবিক ২৮ ইঞ্চি এবং স্ফীত ৩০ ইঞ্চি।
০১/০১/২০১৮ খ্রি. তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮-২০ বছরের মধ্যে হতে হবে। ।

মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি প্রার্থী:
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/ মুক্তিযোদ্ধার পুরুষ সন্তানের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় হতে হবে ৩১ ইঞ্চি। উপজাতীয় পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি থাকতে হবে। সব কোটার নারী প্রার্থীদের উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। ০১/০১/২০১৮ খ্রি. তারিখে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা/ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২০ বছর । সব প্রার্থীদের ওজন বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী বয়স ও উচ্চতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

সরাসরি বাছাই পরীক্ষা:
কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে আগে আবেদন করতে হবে না। প্রত্যেক জেলার প্রার্থীরা নিজ জেলার জন্য নির্ধারিত তারিখে জেলা পুলিশ লাইন মাঠে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বাছাই পদ্ধতি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত নির্ধারিত সময় ও স্থানে উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের প্রথমে শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত প্রার্থীদের জেলার পুলিশ সুপার কর্তৃক সরবরাহকৃত আবেদন ফরম পূরণ করে ৩ কপি সত্যায়িত ছবিসহ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০ টাকা ১-২২১১-০০০০-২০৩১ এই কোড নম্বরে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে চালানের কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এরপর শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত তারিখে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময়ের ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিগত বছর নিয়োগ পাওয়া কয়েকজন কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন থাকে। এ পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের নির্ধারিত তারিখে ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। উত্তীর্ণ হতে হলে উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হবে। পরে এসব প্রার্থীর প্রশিক্ষণকেন্দ্রে যোগদানের পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পুনঃ বাছাই কমিটি কর্তৃক অন্য তথ্যাদি
যাচাইয়ের পর তাঁদের চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

প্রশিক্ষণ:
মনোনীত প্রার্থীদের প্রথমে নির্ধারিত প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ৬ মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রার্থীরা বিনা মূল্যে পোশাকসামগ্রী, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসা সুবিধাসহ প্রতি মাসে ৭৫০ টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা পাবেন।

এ পেশার দায়-দায়িত্ব:
একজন পুলিশ কনস্টেবলকে মাঠপর্যায়ে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হয়। অন্যান্য পেশার চেয়ে এ পেশার দায়দায়িত্ব ও ঝুঁকি একটু বেশি। একজন পুলিশ কনস্টেবলকে চুরি-ডাকাতি রোধ, ছিনতাই-প্রতিরোধ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধসহ বিভিন্ন জনসভা, নির্বাচনী দায়িত্বে অংশগ্রহণ করতে হয়। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, ইমিগ্রেশন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাতেও কাজ করে থাকে।

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা:
চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কনস্টেবল জাতীয় বেতন ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া শিক্ষানবিশকাল সফলভাবে শেষ করার পর চাকরি স্থায়ী হলে বিনা মূল্যে পোশাকসামগ্রী, ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন সামগ্রীসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অন্যান্য চাকরির মতো এখানেও পদোন্নতির ব্যবস্থা আছে। একজন পুলিশ কনস্টেবল বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশের উচ্চপদস্থ পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ারও সুযোগ পাওয়া যাবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে