‘বিয়ে প্রতিরোধে তথ্য আপা’
ঢাকা : বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ২১৩টি উপজেলায় তথ্য আপা নিয়োগ দেবে সরকার। প্রত্যেক তথ্য আপাকে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হবে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শুনবেন এবং ইন্টারনেট থেকে সমাধান খুঁজে বের করে মহিলাদের জানাবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একটি সেমিনারে এসব কথা জানান মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
জাতীয় মহিলা সংস্থার তথ্য আপা প্রকল্পের এ সেমিনারের নাম ‘এনগ্রোসমেন্ট অব নলেজ এটিচিউড অ্যান্ড প্র্যাকটিস রিগার্ডিং আইসিটি বাই দা রুরাল ইউমেন অফ বাংলাদেশ’।
চুমকি বলেন, পথ শিশু পুনর্বাসন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ২১৩টি উপজেলায় তথ্য আপা নিয়োগ দেবে মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেণ, দেশের ৪০ লাখ নারী পোশাক খাতে কাজ করেন। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারী উন্নয়ন মানে জাতির উন্নয়ন। নারীরা এখন অনেক চ্যালেঞ্জিং কাজ করছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, নাগরিককে তথ্য সেবা দিতে একটি ন্যাশনাল হেলপ লাইন চালু করা হবে। এ হেলপ লাইনের সঙ্গে দেশের সব সেবা প্রদান ইউনিটকে সংযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট ছোট একটি কোড নম্বরে ফোন করে সব রকমের তথ্য পাওয়া যাবে। দেশের প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে একজন মহিলাকে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক সাইয়েদ শাহাদাত হোসাইন তথ্য আপা প্রকল্পের অর্জনের ওপর গবেষণার বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম।
বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীন, তথ্য আপা প্রকল্পের পরিচালক মিনা পারভিন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার ‘জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (৬৪ জেলা)’ প্রকল্পের পরিচালক মো. ফয়সাল শাহ।
১৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম