রায় শুনলেন সাকা-মুজাহিদ
ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছেছে।
প্রথমে বিচারিক আদালত ট্রাইব্যুনালে এবং সেখান থেকে রাত আটটার দিকে কারাগারে পাঠানো হয় রায়ের কপি।
ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা একটি মাইক্রোবাসে করে রায়ের কপি নিয়ে রাত নয়টার আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। এরপরই তারা কারাগারের ভেতরে ঢোকেন।
রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে রায়ের কপি দু’টি পৌঁছে কারাফটকে। রায়ের কপি গ্রহণ করেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির।
এর আগে ৮টা ৩৬ মিনিটে রায়ের কপি দু’টি নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশ্যে রওনা হন ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আফতাবুজ্জামান, জ্যেষ্ঠ আইন ও গবেষণা বিষয়ক কর্মকর্তা কাইয়ুম ফয়সাল, ডেসপাস রাইডার সিরাজুল ইসলাম, লাইব্রেরিয়ান তাপস চন্দ ও অফিস সহকারী আবু মুসা।
জানা গেছে, রায়ের কপি পাওয়ার পর কারা কর্মকর্তারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই যুদ্ধাপরাধীর কাছে যান এবং তাদের রায়ের কপি পড়ে শোনান। এ সময় সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়। এর আগে চার বিচারপতি রায়ের কপিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর রায়ের কপি বিচারিক আদালত ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
সন্ধ্যার পর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, আজ সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায়ের কপিতে চার বিচারপতি স্বাক্ষর করেছেন।
গতকাল বুধবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। আবেদন খারিজ হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
এখন শুধু বাকি রাষ্ট্রপতির কাছে সাকা-মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার ধাপ। একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কারা কর্তৃপক্ষ সাকা-মুজাহিদের কাছে জানতে চাইবেন তারা কৃতকর্মের দায় স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা। যদি তারা প্রাণভিক্ষা চান তাহলে তাদের সময় দেয়া হবে। আর না চাইলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
১৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম