শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:০৩:৪১

নামের পাশে এবার খেতাবও যুক্ত হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রে

 নামের পাশে এবার খেতাবও যুক্ত হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্রে

নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের বিচারকদের পর এবার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মাধ্যমে এই সম্মান জানানোর সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রে নাগরিকের নাম লিপিবদ্ধ করার বিধান থাকলেও এসব মুক্তিযোদ্ধদের নামের পাশে তাদের বীরোচিত কাজের প্রাপ্ত খেতাবটিও যুক্ত করে দেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলীর দেয়া এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় অন্য কমিশনারও এরইমধ্যে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। শিগগিরই এনিয়ে কমিশন বৈঠক ডেকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি পদবী বা খেতাবসহ তার নাম ভোটার তালিকায় উল্লেখ করতে পারতেন। কিন্তু ভোটার তালিকা (সংশোধিত) আইন-২০১৩ অনুযায়ী, কোনো নাগরিক কেবল জন্ম সনদ, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী সনদ বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেটে উল্লেখিত নামই ভোটার তালিকায় নাম হিসেবে লিপিবদ্ধ করতে পারেন। তবে এই আইন বলবৎ হওয়ার আগে যারা পদবী বা খেতাব উল্লেখ করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে সেই খেতাব বা পদবী থাকতে সমস্যা নেই। আইনটি বলবৎ হওয়ার পর থেকে কেউ আর পদবী বা খেতাব ব্যবহার করতে পারেন না। পরবর্তীতে এক রায়ে বিচারপতিদের নাম ভোটার তালিকায় উল্লেখ করার সময় ‘বিচারপতি’ যুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। ২০১১ সালে দায়ের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১২ সালে এ নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নাঈমা হায়দার ও মির্জা হোসেইন হায়দারের নামের আগে ‘বিচারপতি’ যুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন। ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিচারপতির পদ অবশ্যই সম্মানজনক। তাদের খেতাব উল্লেখ করাটাই সমিচীন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারাও সম্মানিত। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে তারা গৌরবোজ্জল বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তাই তাদেরও সম্মানসূচক খেতাব জাতীয় পরিচয়পত্রে যুক্ত করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। তারা জানান, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। প্রস্তাবে এই কমিশনার উল্লেখ করেন- ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য্য থাকবে চিরকাল। মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা বীরত্বের পরিচয় দিয়ে জাবীনবাজী রেখে খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাঁদের নামের সঙ্গে প্রাপ্ত খেতাব, যেমন-বীর প্রতীক, বীর বিক্রম, বীর উত্তম লেখার অনুমতি দেয়া সঙ্গত বলে মনে হয়।’ তিনি, এই প্রস্তাবনাটির অনুলিপি অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের কাছেও পাঠিয়েছেন। এতে জাবেদ আলী, বিষয়টির উপর সব নির্বাচন কমিশনারদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। নির্বাচন কমিশনের উচ্ছপদস্থ একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, আইনে না থাকলেও আদালতের নির্দেশে বিচারপতি পদবী লেখার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাবও উল্লেখ করার সুযোগ দেয়া উচিত। কমিশন বৈঠক করে এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ২০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে