শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৬:৩৫

পিটুনিতে চেতনা হারাল শিশু

পিটুনিতে চেতনা হারাল শিশু

নিউজ ডেস্ক : পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা গ্রামে সুপারি চুরির অভিযোগে গত মঙ্গলবার মেহেদী হাসান (৫) নামের এক শিশুকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহত মেহেদী পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চার দিন ধরে চিকিৎসাধীন। এদিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তাঁতেরকাঠি গ্রামে গত বুধবার রাতে চুরির অভিযোগে আনোয়ার হোসেন আকন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে বেঁধে পিটুনি দেন। চোখে-মুখে কিল-ঘুষি ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এভাবে সারা রাতের নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ছুটে যান আনোয়ারের স্ত্রী ও নয় বছরের মেয়ে। তাঁদের সামনেও নির্যাতন করা হয় তাঁকে। এটা দেখে মেয়েটি বাবাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি–মিনতি করতে থাকে। বাবার ভুলের জন্য সে উপস্থিত ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাত-পা ধরে কান্নাকাটিও করে। তবে কাজ হয়নি। অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আনোয়ার তাঁতেরকাঠি গ্রামের খোকন মৃধার বসতঘরে প্রবেশ করেন। ওই সময় ঘরের লোকজন চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁকে ধরে ফেলে। পরে আনোয়ারকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। শিশুটির পারিবারিক সূত্র জানায়, মেহেদী হাসান জুজখোলা গ্রামের জনাব আলী হাওলাদারের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে সে বাড়ির পাশে হেদায়েতের দোকানে চক কিনতে যায়। এ সময় পাশের দোকানদার আবদুর রব খান মেহেদীকে ডেকে তাঁর দোকানের পেছনে নিয়ে যান। এরপর আবদুর রব রোদে শুকাতে দেওয়া তাঁর সুপারি চুরির অভিযোগে মেহেদীকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশুটি চেতনা হারালে আবদুর রব সেখান থেকে চলে যান। খবর পেয়ে মেহেদীর মা শিরিন আক্তার ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় গতকাল সকালে জনাব আলী পিরোজপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আবদুর রব খান বলেন, ‘চুরির অভিযোগে শিশুটিকে মারপিট করিনি। শুধু বকাঝকা করেছি।’ ২০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে