শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:১২:৩০

মুজাহিদের দেখা পেতে জেলগেটে আইনজীবীরা

মুজাহিদের দেখা পেতে জেলগেটে আইনজীবীরা

ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে এখনও অনুমতি মেলেনি কারা কর্তৃপক্ষের। এখনও পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন তার আইনজীবীরা। যদিও বৃহস্পতিবারই কারা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় আইনজীবীদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের আর কোনো সুযোগ নেই। তবে পরিবার ‍চাইলে দেখা করতে পারে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাডভোকেট এইচ এম তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এখনও পর্যন্ত কোনো রেসপন্স করেননি।আইনজীবীরা তার (মুজাহিদ) সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কি না সে ব্যাপারেও কিছু জানা যায়নি।’ তামিম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। পরে আমিসহ ৫ আইনজীবী কারা অধিদপ্তরে একটি লিখিত আবেদন করি। এতে দেখা করার সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উল্লেখ করা হয়।’ অ্যাডভোকেট তামিম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা বাজার পরও কারা অধিদপ্তর থেকে আমাদের ডাকা হয়নি। ডাক পেলেই আমরা যাব, অপেক্ষায় রয়েছি।’ অন্য চার আইনজীবী হলেন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ও অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান। এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার পর সুপ্রিম কোর্ট ও এর আশপাশের এলাকায় ধীরে ধীরে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ এলাকা কড়া নজরদারিতে রাখছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে তাদের সাজার চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটের পর সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি জেলার ও একজন সহকারী জেলার তাদের রায় পড়ে শোনান। এর আগে রাত পৌনে ৯টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র সহকারী জজ আফতাবুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রায়ের অনুলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এরপর সেখানে ওই রায় ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। কারা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার যেকোনো এক সময়ে একজন ম্যাজিস্টেট্রের নেতৃত্বে কারা কতৃপক্ষ সাকা ও মুজাহিদের কাছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইবেন। সাকা-মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির দণ্ড থেকে বাঁচতে এ দুজনের কাছে এখন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর যদি ক্ষমা না পান তবে আইন অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যেকোনো সময় দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের মধ্যে দিয়ে তাদের আইনি লড়াই শেষ হয়। ২০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে