রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৩:১৬:২০

বিদ্যুৎ গেল প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে, রসিকতা করে যা বললেন শেখ হাসিনা

বিদ্যুৎ গেল প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে, রসিকতা করে যা বললেন শেখ হাসিনা

ঢাকা: বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী ২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ডায়াসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হঠাৎ চলে গেলো বিদ্যুৎ। আর এতে রসিকতা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করতে যান প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ থেকে শুরু করে চা বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, টি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা, বাগান মালিকদের পাশাপাশি দেশি বিদেশি ব্যবসায়ী এবং প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বেলা সাড়ে ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিতে উঠেন। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে রসিকতা করে বলেন, ‘১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের পরও বিদ্যুৎ যায়, তাহলে আমি কী করতে পারি?’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন প্রথম সরকার গঠন করি তখন বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। পাঁচ বছরে সেটি ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করি।’ ‘২০০৯ সালে যখন আবার সরকার গঠন করি, তখন সেটা কমে ৩২০০ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। সেটা থেকে শুরু করে এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করি।’ তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসে আর প্রধানমন্ত্রী ‘যান্ত্রিক গোলযোগ হতেই পারে’ বলেই এর ইতি টানেন।

২০০৯ সালে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সরকারের টানা দুই মেয়াদের শাসনামলে দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট থেকে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট। আর উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। আর দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশই এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

বিদ্যুৎ খাতে এই অগ্রগতিকে সরকার তার সাফল্য হিসেবে দেখিয়ে থাকে। এর মধ্যেই ২০১৬ সালের ১২ মার্চ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের ২৫ সেকেন্ডের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়।

এর আগে ২০১৫ সালের ৯ মে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ চলে যায়। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের দুই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক এবং পরে আরও দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে