শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:২৬:৪৩

সময় চাইলেন সাকা-মুজাহিদ

 সময় চাইলেন সাকা-মুজাহিদ

ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা তা জানতে চেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেই। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে যেকোনো এক সময়ে সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে তাদের কাছে প্রশ্ন রাখেন। কেন্দ্রীয় কারা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জেলসুপারের এমন প্রশ্নের জবাবে সাকা-মুজাহিদ বলেছেন, তারা আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা না করে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। জবাবে জেলসুপার বলেছেন, কারাবিধি অনুযায়ী এখন আর আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার কোনো সুযোগ নেই। এ জবাবে নিশ্চুপ ছিলেন সাকা-মুজাহিদ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাকা-মুজাহিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও ডা. হাফিজ তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। শুক্রবার সকালে ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, দুজনই শারীরিকভাবে ‍সুস্থ আছেন। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাকা-মুজাহিদকে তাদের সাজার চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়। সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি জেলার ও একজন সহকারী জেলার তাদের রায় পড়ে শোনান। তার আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র সহকারী জজ আফতাবুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রায়ের অনুলিপি নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেন। এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি বাকি। এটা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বলেছেন, তারা এখনো রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। চাইলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর না চাইলে যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসি কার্যকর করা হবে। বুধবার সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। ওই রায়ের মধ্যদিয়ে তাদের আইনি লড়াই শেষ হয়। ২০ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে