শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৯:২৫

ফাঁসি স্থগিত করার আহ্বান :এইচআরডব্লিউ

ফাঁসি স্থগিত করার আহ্বান :এইচআরডব্লিউ

নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অন্যদিকে সাকা চৌধুরীর প্রতি ‘মারাত্মক অবিচার’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য। নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এইচআরডব্লিউ নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিবৃতি গতকাল শুক্রবার প্রকাশ করেছে। এতে সংগঠনের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত মারাত্মক অপরাধগুলোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি ও বিচারের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায্য বিচার, বিশেষ করে যখন মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেওয়া হয়, তখন প্রকৃত বিচার উপহার দিতে পারে না।’ এর আগে জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার আগেও তাঁদের দণ্ড কার্যকর বন্ধ করতে একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিল এইচআরডব্লিউ। অ্যামনেস্টির আহ্বান: অন্যদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএর ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। ‘হল্ট এক্সিকিউশন অব আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ অ্যান্ড সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী’ শিরোনামের এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যায়বিচার নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ থাকলেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত ১৮ নভেম্বর মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন। বিবৃতিতে দুজনের দণ্ড কার্যকর স্থগিত করতে, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাঁদের কারাদণ্ড দিতে এবং বাংলাদেশ যে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস-এর (আইসিসিপিআর) সদস্য, সে বিষয়ে দেশটির সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে অবিলম্বে চিঠি লেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ এমপির বিবৃতি: ব্রিটিশ রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ব্লগ লিবডেম ভয়েস-এ গতকাল একটি বিবৃতি দিয়েছেন দলটির এমপি ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র টম ব্রেক। এতে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সাকা চৌধুরীর বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে। টম ব্রেক লিখেছেন, সাকা চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবীরা ১ হাজার ১৫৩ জন সাক্ষীর তালিকা দিলেও মাত্র পাঁচজনকে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সাক্ষীর তালিকা উপস্থাপনে ১৩ মাস সময় দিলেও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। সাকা চৌধুরীর ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কোনো অভিপ্রায়ই আইসিটির ছিল না, এটা বেশ স্পষ্ট—মন্তব্য করে এমপি টম ব্রেক লিখেছেন, ‘এটা সাকা চৌধুরী ও বাংলাদেশের প্রতি একটা মারাত্মক অবিচার।’ দলের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র হিসেবে তিনি এরই মধ্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডকে চিঠি লিখে ব্রিটিশ সরকারকে এই বিচারের কড়া নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ২১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে