শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৩:৪০:৩৬

খালেদার কারাবাস আরও দীর্ঘ হোক এটা চাইছে বিএনপি: কামরুল

খালেদার কারাবাস আরও দীর্ঘ হোক এটা চাইছে বিএনপি: কামরুল

ঢাকা : আইনজীবীদের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। আর বিএনপি আসলে এটাই চাইছে বলে মনে করেন তিনি।

পেশায় আইনজীবী এই রাজনৈতিক নেতা বলেন, ‘বিএনপির আইনজীবীদের ডিলেটারির প্রাকটিস কারণেই খালেদা জিয়াকে বেশিদিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়, খালেদার কারাবাস আরও দীর্ঘ হোক এটা চাইছে বিএনপি।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়।

এই আলোচনার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রসঙ্গ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ‍দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

১১ দিন পর রায়ের অনুলিপি পান বিএনপির আইনজীবীরা। পরদিন উচ্চ আদালতে আপিল করেন তারা। তারও দুই দিন পর করা হয় জামিন আবেদন।

খালেদা জিয়ার আপিলের আবেদ গ্রহণ করে আদালত ১৫ দিনের মধ্যে রায়ের নথিপত্র পাঠাতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে। আর তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে রবিবার।

আপিলের গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি জামির আবেদনের শুনানিও বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাদের আবেদনের কাগজপত্র সেদিন সকালে দুদকের আইনজীবীর কাছে দেন। এত কম সময়ে এসব নথিপত্র পড়া সম্ভব নয় জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এরপর রবিবার শুনানির দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।

আইনমন্ত্রী মনে করেন, উচ্চ আদালতে আবেদন আরও আগেই হতে পারত। আর এই বিলম্বের জন্য দায়ী বিএনপির আইনজীবীরা।

বিচারিক আদালতে রায়ের অনুলিপি পেতে বিলম্বের জন্য বিএনপির আইনজীবীরা অবশ্য সরকারের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছেন। তবে খাদ্যমন্ত্রী মনে করেন, এ ক্ষেত্রে বিএনপির আইনজীবীদের ভুল দায়ী। তিনি বলেন, ‘বিএনপির আইনজীবীরা যথা সময়ে খালেদা জিয়ার রায়ের কপির জন্য আবেদন করেনি। এমনকি খালেদা জিয়ার ডিভিশনের ব্যাপারে তারা দুই দিন পরে আবেদন করেছে। তাদের ডিলেটারির কারণেই খালেদার মুক্তিতে বিলম্ব হবে।’

খালেদা জিয়ার সাজার পর বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচি এখন অবধি শান্তিপূর্ণ থাকলেও যে কোনো মুহূর্তে তা ‘বীভৎস’ রূপ ধারণ করে পারে বলেও সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, সে ক্ষেত্রে সরকার কঠোর হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সংলাপে বসার দাবিও নাকচ করেন খাদ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কারো সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হতে পারে না।’

২০১৪ সালের মতোই বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ‘চক্রান্ত’ করতে পারে বলে সতর্ক করে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান কামরুল।

আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ মো. ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে