নিউজ ডেস্ক : ‘উচ্চ আদালতের রায় ইংরেজিতে লেখা হয়। সবাই তো ইংরেজি বোঝে না। দেখা গেল উকিল যা বললেন, সেটার ওপর ভরসা করেই রায়ের মর্মার্থ বুঝতে হয়। তবে ইংরেজি ভাষায় রায় লেখার বিষয়টি বহুদিনের অভ্যাস। হুট করে তো সবকিছুর পরিবর্তন সম্ভব না। আমরা আশা করতে পারি অদূর ভবিষ্যতে রায় বাংলায় লেখা হবে।’
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মাতৃভাষা দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। সেখানে বাংলা ভাষা শেখার ব্যবস্থা থাকবে না কেন? অবশ্যই থাকতে হবে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, দাওয়াত কার্ডও এখন ইংরেজিতে লেখা হয়। এটা কেন লিখতে হবে? ইংরেজি ভাষাভাষীর জন্য সেটা হতে পারে। তবে আমাদের দেশে বিয়ের কার্ড কেন ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে? এর মধ্যে তো কোনো আলাদা মর্যাদা নেই। এ সময় এক সচিবের মেয়ের বিয়ের কার্ড বাংলা ভাষায় লেখায় বেশ প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৫ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের যে সংবিধান করা হয়েছিল, সেখানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া হয়। একইসঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি অর্জনের পেছনে আমাদের সংগ্রাম-আন্দোলন করতে হয়েছে। আমাদের অনেক ত্যাগ রয়েছে। সংগ্রামের পথ ধরেই আমাদের অর্জন করতে হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস