ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখি, কী অপরূপ দৃশ্য!
নিউজ ডেস্ক: ষড়ঋতুর বৈচিত্রময় দেশ এই সোনার বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্টে যায় বাংলার প্রকৃতি। এখন শীতকাল। আর এ ঋতুতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসে হাজারো রকমের পাখি।আর এখানে এসে পরম আনন্দে কাটিয়ে যান পুরো শীতকাল। শীত বাড়ার সাথে সাথে পাখির সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
প্রচন্ড ঠান্ডা ও বরফের আচ্ছাদনে যখন সাইবেরিয়া ও অন্যান্য শীতপ্রধান অঞ্চল ঢেকে যায়, তখন নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্যের সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে অসংখ্য পাখি আমাদের দেশে আসে।
এসময় অধিকাংশ পাখি রাতে চলাচল করে। এটা তাদের সহজাত স্বভাব এবং বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বাটন, গুলিন্দা, জৌরালি, গাঙচিল, পানচিল, জিরিয়াসহ রঙ বেরঙের অসংখ্য হাঁস। এদের বেশীরভাগই জলচর। মূলত হাওর, মোহনা, উপকূলীয় দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে এরা আশ্রয় নেয়।
দেশীয় পাখির সাথে এদের মিলনমেলায় ভরে ওঠে বাংলাদেশ। সুমধুর কলকাকলিতে মুখরিত হয় বাংলার চারপাশ। শীতকাল অতিবাহিত করে ফিরে যায় এরা। আর এই স্বল্প সময়ের মধ্যে পাখিরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন এবং মাটিকে উর্বর করে ফিরে তোলাসহ জলজ পরিবেশকে সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিন্তু আবাসস্থল ধ্বংস এবং অবৈধ শিকার করায় এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আগের মতো আর দেখা যায় না। ফলে আমাদের প্রতিবেশব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হচ্ছে। এজন্য এই পাখিদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
২১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ