রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৪:২৪:০৪

যে কারণে জামিন পেলেন না খালেদা জিয়া

যে কারণে জামিন পেলেন না খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় মামলার শুনানি শেষ হয়।

তবে বিচারিক আদালত থেকে এখনও নথি না আসায় তার জামিনের বিষয়ে কোনও আদেশ দেননি বিচারকরা। ওই আদালত থেকে নথি এলে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিচারকরা। এর ফলে খালেদা জিয়ার জামিনে কারামুক্তির অপেক্ষা আরও কিছুদিনের জন্য বাড়লো।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আদালত আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি তলব করেন এবং আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড স্থগিত রাখেন।

এ মামলার শুনানির জন্য দুপুর ২টায় হাইকোর্টের এজলাসে আসেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম।  কিন্তু, আদালতের ভেতরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। ভিড় কমানোর নির্দেশ দিয়ে ১০ মিনিটের জন্য এজলাস ছাড়েন তারা। পরে দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি শুরু করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে অন্য আইনজীবীরা তাকে সহায়তা করেন।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

আদালতে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান ও মির্জা আব্বাস, দলীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে