নিউজ ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কমপক্ষে আরও ১৫ কার্য দিবস কারাবাসে থাকতে হবে। সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে শুনানিতে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জামিন আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি আদালতকে বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যিনি এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলের স্বাক্ষরে কীভাবে টাকা চলে যায়? ওই সময় তার ছেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসায়ই থাকতেন। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি এত বড় দায় এড়াতে পারেন না।
শুনানিতে আদালত বলেছে নিন্ম আদালত থেকে এ মামলার নথিপত্র আসার পর জামিন আবেদনের উপর আদেশ দেবেন আদালত। আদালতে জমিন শুনানি শেষ হওয়ার পরে সংবাদ সম্মেলন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বয়স, অসুস্থতা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে জামিন আবেদনের আর্জি করেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন।
খালেদার জামিন শুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, নিন্ম আদালত থেকে এ মামলার নথিপত্র আসার পর জামিন আবেদনের উপর আদেশ দেবেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, নিম্ন আদালত থেকে নথিপত্র পাঠাতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নথিপত্র আদালতে আসবে বলে জানান তিনি। তার এ বক্তব্যে এটা প্রতীয়মান হয় যে, আরও ১৫ কার্যদিবসের আগে খালেদার জামিন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এমটিনিউজ/এসবি