নিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৫ ধারার আওতায় নিম্ন আদালতের নথি তলব করেছিলেন।
তবে অভিজ্ঞ আইনজীবীরা বলেছেন, হাইকোর্ট বা আপিল আদালত সাধারণত বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করার পরে সাজা কম হলে দ্রুত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এটাই আদালতের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ।
হাইকোর্ট এর আগে অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে নথি হাইকোর্টে প্রেরণের আদেশ দেন। এটা আশা করা স্বাভাবিক যে, সদরঘাট থেকে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা বলে প্রতীয়মান হওয়া একটি নথি হাইকোর্টে পৌঁছাতে অহেতুক বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।
৪৩৫ ধারায় অবশ্য কত দিন সময়সীমা বেঁধে দেয়া কিংবা তা তামিল করা না-হলে কি হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, জামিনের শুনানির পরে সাধারণত তা মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করতে নিম্নআদালতের নথির জন্য অপেক্ষা করা হয় না।
কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে যদি আসামি দুর্ধর্ষ হয়, কিংবা শুনানিকালে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, আদালতের সামনে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা যেসব কাগজপত্র উপস্থাপন করেছেন, তার সত্যতা বা স্পষ্টীকরণ নিয়ে খটকা দেখা দিয়েছে, তখন আদালত নথির জন্য অপেক্ষা করার আদেশ দিয়ে থাকেন।
অভিজ্ঞ আইনজীবীরা আরো উল্লেখ করেন যে, আদালতের এটা দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিস যে, স্বল্পমেয়াদি সাজা হলে এবং গুরুতর কোনো ফৌজদারি অপরাধ যেমন খুন, জখম, রাহাজানি ইত্যাদির আসামি না হলে আদালত অন্তর্বর্তী জামিন আদেশ দিয়ে থাকেন, এ ক্ষেত্রে নিম্নআদালতের নথির জন্য অপেক্ষা করেন না।
আবার অনেক সময় চাঁদাবাজি বা বড় ধরনের সন্ত্রাসমূলক অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ৩ থেকে ৬ বছরের সাজা পেলেও আদালত নথি না দেখে জামিন আদেশ দেন না। আর ১৪ বা ২০ বছরের মতো বেশি মেয়াদি সাজার আসামিদের কখনই নথি না পরীক্ষা করে আদালত জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন না।
একজন আইনবিদ বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের ১১ চ্যাপ্টারের আওতায় রুল ১৯-এ বলা আছে, কোনো আপিল শুনানির জন্য গৃহীত হলে, হাইকোর্ট চাইলে নিম্নআদালতের নথিপত্র পেপারবুক তৈরির জন্য তলব করতে পারেন।
এতে দেখা যায়, জামিনের জন্য নথি তলব এবং আপিলের আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে নথি তলব দুটি আলাদা বিষয়। জামিনের জন্য নথি তলবের বিষয়ে হাইকোর্ট রুলসে শ্যাল দিয়ে কোনো বাক্য নেই বলেও দাবি করেন ওই আইনজীবী। -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসএস