শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:১২:২৯

সাকা-মুজাহিদের অন্তিমবেলা কাটছে নামাজেই

সাকা-মুজাহিদের অন্তিমবেলা কাটছে নামাজেই

নিউজ ডেস্ক : নিয়মিত নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে অধিকাংশ সময় পার করছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির প্রহর গণা জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর। তারা উভয়েই স্বাভাবিক ও দৃঢ় আছেন বলেই কারাভ্যন্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এদিকে পরিবারের সদস্যরা দেখা করার পর থেকে কনডেম সেলে তাদের মন কিছু বিষণ্ণ হলেও তাদের আচরণ আগের মতই স্বাভাবিক। তবে তাদের খাদ্য গ্রহণের মাত্রা আগের তুলনায় কিছুটা কমে গেছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, শুক্রবার দুপুরেও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে সাধারণ বন্দির মতোই সাদা ভাত, সব্জি, মাছ ও ডাল সরবরাহ করা হয় নির্ধারিত সময়ে। তারা খাবারও গ্রহণ করেন আগের মতই। তবে খাবারের একটা অংশ ফেরত দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে তাদের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উভয়ের পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তাদের সাথে দেখা করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুজাহিদের সঙ্গে পরিবারের ১২ সদস্য দেখা করতে যায়। তারা হলেন- তার স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, বড় ভাই আলী আফজাল মোহাম্মদ খালেছ, ছোট ভাই ওজায়ের এম এ আকরাম, বড় ছেলে আলী আহম্মদ তাজদীদ, মেজ ছেলে আলী আহম্মদ তাহকিক, ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর, মেয়ে তামরিনা ‍বিনতে মুজাহিদ, বড় ছেলের স্ত্রী ফারজানা জেবিন, মেঝো ছেলের স্ত্রী নাসরিন কাকলি, ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা রুপাইদা, ভাগনে আ ন ম ফয়েজ হাদী সাব্বির ও স্বজন নুরুল হুদা। বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর বলেন, ‘তিনি মানসিকভাবে দৃঢ় আছেন। সুস্থ আছেন। আমরা তার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, ভয় করো না। ফাঁসি হলেও ইসলামের আন্দোলন চলবে।’ তবে তার দল সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানান তার ছেলে আহমেদ মাবরুর।একইভাবে ওইদিন সাকার পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। ২১ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে