নিউজ ডেস্ক : ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে দেয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল বাতিল করা হবে। এ ঘটনায় আটককৃত ও বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা। এমন সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই কমিটি।
তবে অকাট্য প্রমাণের অভাবে কোনো বিষয়ে সবার পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়নি। যদিও পরীক্ষার আগে ‘কিছু বিষয়’-এর (সাবজেক্ট) নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে বলে মনে করছে কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কমিটির তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ফাঁস প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের দুটি পদ্ধতিতে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এর একটি হচ্ছে, প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান ও অপরটি গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কোনো প্রশ্নই পুরোপুরি ফাঁস হয়নি।
শুধু ‘কিছু’ বিষয়ের (সাবজেক্ট) এমসিকিউ ফাঁস হয়েছে। তদন্তে প্রশ্নফাঁসের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ সুবিধা পেতে পারে। সেই হিসাবে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী প্রশ্নফাঁসের সুবিধা পেয়ে থাকতে পারে। ফলে শুধু এদের পরীক্ষার ফল বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, এবার প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত হয়। দু-এক দিনের মধ্যেই এটি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে চারটি সুপারিশসহ পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এতে কমিটির মতামত এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ও এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। প্রতিবেদনের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কমিটির প্রধান এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বৃহস্পতিবার বলেন, আমাদের কাজ প্রতিবেদন তৈরি করা। সেই কাজ শেষ হয়েছে। এখন প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। প্রতিবেদনের কোনো তথ্য প্রয়োজন মনে করলে সরকার প্রকাশ করবে। সরকারের সেই সিদ্ধান্ত নেয়া পর্যন্ত তিনি সবাইকে অপেক্ষার অনুরোধ করেন।
এমটিনিউজ/এসবি