রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪৬:০৩

হাউমাউ করে কেঁদেছেন সাকা-মুজাহিদ

হাউমাউ করে কেঁদেছেন সাকা-মুজাহিদ

নিউজ ডেস্ক : ফাঁসি কার্যকর করার আগে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় হাউমাউ করে কাঁদছিলেন সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এর মধ্যে মুজাহিদ তার দুই মেয়েকে ধরেই সবচেয়ে বেশি কেঁদেছেন বলে কারা সূত্রে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসার পর দু’জনকে তাদের শেষ ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু এর জবাবে তারা কিছুই জানায়নি। পরে তাদেরকে খাবার দেয়া হয়। সেই খাবারে মধ্যে ছিল ভাত, সবজি, মুরগির মাংস এবং ডাল। ওই মুহূর্তে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী খাবার খেলেও মুজাহিদ তা ফিরিয়ে দেন। মুজাহিদের পরিবার বের হওয়ার আগেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে তওবা পড়ানো হয়। আর পরিবারের সদস্যরা বের হওয়ার পর তওবা পড়ানো হয় মুজাহিদকে। তাদেরকে তওবা পড়ান লালবাগ তারা মসজিদের ইমাম মনির হোসেন। পরে আলী আহসান মুজাহিদ এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর হাত পেছনের দিকে বেঁধে ফেলা হয় এবং জমটুপি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয় তাদের মুখম-ল। সামনে একজন এবং পেছনে দুইজন জল্লাদ দিয়ে তাদেরকে পৃথকভাবে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যায়। তবে সাকা চৌধুরীকে কনডেম সেল থেকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য তিন জল্লাদ তার কাছে গেলে জোর-জবরদস্তি করেন তিনি। পরে জল্লাদরা জোর করে যখন তার মাথায় জমটুপি পরিয়ে দেয় তখন কিছুটা শান্ত হয়ে দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। যখন ফাঁসির মঞ্চে তোলা হচ্ছিল তখন আরেকবার পা শক্ত করে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাকা। জল্লাদরা শেষবারের মতো ধরে জোর করে ফাঁসির মঞ্চে তোলে তাকে। ১২টা ৩৬ মিনিটে ফাঁসির মঞ্চে মূল কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে ১২টা ৪২ মিনিটে তাদেরকে মঞ্চে তুলা হয়। এ সময় ফাঁসির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স) কর্নেল ফজলুল কবির, সিভিল সার্জন আব্দুল মালেক মৃধা, ডিবি (ডিসি-উত্তর) নাজমুল আলম, ডিআইজি (প্রিজন্স) গোলাম হায়দার, জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, জেলার নেসার আলী, ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, দুই ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সশস্ত্র কারা পুলিশ, ৮ জন সিভিল পুলিশ এবং ৬ জন ডেপুটি জেলার (এর মধ্যে একজন ছিলেন নারী)। ফাঁসির মঞ্চটি কারাগারের পুরোনো মঞ্চ নামেই পরিচিত। এই মঞ্চেই জেএমবির সাবেক প্রধান সায়েক আব্দুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পাঁচ আসামির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়।-বাংলামেইল ২২ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২০১৫/পিবি/পিপি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে