নিউজ ডেস্ক : প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষাণীর মৃত্যুতে জাতি এক বীর মুক্তিযাদ্ধাকে হারালো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মৃত্যু ভাস্কর্য শিল্পের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (৭০) ইন্তেকাল করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, তিনি হাসপাতালে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কিডনি ও অর্থপেডিক রোগের চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বাঙালী নারীদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছিল, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষাণী তাদের একজন।
১৯৪৭ সালের ১৯ শে ফেব্রুয়ারি খুলনায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। তার স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা।
তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বীরঙ্গনা রাষ্ট্রী সর্বোচ্চ পুরষ্কার স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রিয়ভাষিণী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তিনি ভাস্বর্য শিল্পের সঙ্গে জড়িত হয়ে সুনাম কুড়ান।
এমটিনিউজ/এসএস