সাকা-মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন আইনমন্ত্রী
ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। গতকাল রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে গতকাল বিকেলের দিকে সাকা-মুজাহিদের ক্ষমা চাওয়ার খবর আসার পর থেকেই ওই দুই আসামির পরিবার বলে আসছিল, ক্ষমা চাওয়ার খবরটি সত্য নয়। মুজাহিদের দল জামায়াতও বলেছে মুজাহিদ ক্ষমা চাননি।
এই দুই যুদ্ধ অপরাধির রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে আইনমন্ত্রী বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন, এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ নেই। সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ দুজনে ৪৯ ধারায় আবেদনটি লিখেছেন। তার মানে কী? সেখানে বলা হয়েছে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা।
সাকা-মুজাহিদের আবেদন দেখানো যাবে কি না- সাংবাদিকদের এমন জিজ্ঞাসায় মন্ত্রী বলেন, এই আবেদন আমরা দেখাতে পারি না। আবেদন দেখাতে গেলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে।
সাকা চৌধুরী ইংরেজিতে ও মুজাহিদ বাংলায় আবেদন লিখেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রীর অভিযোগ, বিদেশি মদতদাতাদের খুশি করতে সাকা এবং মুজাহিদের পরিবার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এ দুই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর না করতে বিদেশি কোনো চাপ ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান চাপ ছিল না। তবে কয়েকটি সংস্থা রায় যাতে না কার্যকর করা হয় সে চেষ্টা করেছে বলে জানান আনিসুল হক। মন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রায়টি মানতে চায় না।
সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেছে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কিছু করার নেই বলেও যোগ করেন মন্ত্রী।
২২ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ