সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৪৫:০৭

কাঠমাণ্ডুতে যেভাবে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমান

কাঠমাণ্ডুতে যেভাবে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমান

নিউজ ডেস্ক : নেপালের কাঠমাণ্ডুতে ইউএস বাংলার বিধ্বস্ত বিমান থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটিতে ৫ জন ক্রু সহ ৭৩ জন আরোহী ছিল। বাকিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো নিশ্চত হওয়া যায়নি।

বেলা সোয়া দুইটার দিকে কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দূর থেকে বিমানটি থেকে প্রবল ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।

জানা গেছে, ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পূর্ব দিকে বিমানটি ল্যান্ড করার সময় পাশের রানওয়ের বাইরে একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

ঢাকায় ইউএস বাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, দুপুর ১ টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এটি ছেড়ে যায়। তবে প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত হবার কারণ জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা। হতাহতের সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।

নেপালে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

সানজিব গৌতম বলেন, অস্বাভাবিক এ অবতরণের পেছনের কারণ এখনো আমরা জানতে পাইনি। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর জানান, প্লেনটি অবতরণের সময় তীব্র ঝাঁকুনি খেয়ে দিক বদলে পূর্ব পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে। এসময় প্লেনটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলে বিমানবন্দরের উদ্ধারকর্মী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা চালাচ্ছেন।

উদ্ধারকাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।তবে কীকারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা। দুর্ঘটিনা পরবর্তী নেপালের এই এয়ারপোর্টে সকল ফ্লাইট (অস্থায়ীভাবে) বাতিল করা হয়েছে।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে