বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:১৯:১৪

‘আমি যাচ্ছি মা’

‘আমি যাচ্ছি মা’

নিউজ ডেস্ক : প্রতিবার আকাশে উড়ার আগে মায়ের কাছ থেকে দোয়া নিতেন ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্সের ফার্স্ট অফিসার (পাইলট) পৃথুলা রশিদ। সোমবারও আকাশে উঠার আগে বিদায় নিয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে।

মাকে বলেছিলেন ‘আমি যাচ্ছি মা’। কে জানতো বিধাতা আর পৃথুলাকে তার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেবেন না। চলে যাবেন না ফেরার দেশে। মাকে যাচ্ছি বলাই হবে তার শেষ কথা! কিন্তু নেপালের কাঠমুণ্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় পৃথুলার এই অকাল হারিয়ে যাওয়া যেন মা কিছুতেই মানতে পারছেন না।

মায়ের চিৎকার-আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে মিরপুর ডিওএইচএস-এর ‘স্বর্ণা’ অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থিত এই বিমান অফিসারের বাসা। সকাল থেকেই একমাত্র আত্মীয়-স্বজন ছাড়া বাসার মধ্যে কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না পৃথুলার আপনজনরা। পৃথুলার ছোট খালু তৌফিকুর রহমান সুমন বলেন, আমাদের ওপর দিয়ে এভাবে ঝড় বয়ে যাবে তা কিছুতেই মানতে পারছি না।

পৃথুলার এই অকাল চলে যাওয়ায় ওর মা-বাবা বিমর্ষ। তৌফিকুর রহমান সুমন আরো জানান, বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে পৃথুলা। দুই বছর যাবৎ ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে কাজ করছেন।

তিনি পড়াশোনা করেছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। পাশাপাশি আরিরাঙ ফ্লাইং স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট হিসেবে কাজ শুরু করেন পৃথুলা। ব্যক্তিজীবনে পৃথুলা খুবই শান্তশিষ্ট।

কখনো কারো ক্ষতি করতেন না তিনি। পারলে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে অন্যের উপকারে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। তৌফিকুর রহমান সুমন আরো জানান, পৃথুলার লাশ আনতে এরই মধ্যে নেপাল পৌঁছেছেন তার মামা।

সেখান থেকে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে তাকে দেশে আনা হবে বলেও জানান তিনি। প্রথম নারী পাইলট হিসেবে পৃথুলাকে পেয়ে গর্ব করতো ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। তার মৃত্যুতে বিমান কর্তৃপক্ষও শোকাহত। দুই পাইলট ও দুই ক্রুর মৃত্যুতে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ শোক প্রকাশ করেছে।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে