রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫৫:১৫

জোড়া ফাঁসিতে খুশি একাত্তরের ভুক্তভোগীরা

 জোড়া ফাঁসিতে খুশি একাত্তরের ভুক্তভোগীরা

নিউজ ডেস্ক : যুদ্ধাপরাধের মামলায় ঢাকার সেন্ট্রাল জেলে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসি দেয়ার পর শনিবার গভীর রাতেই কড়া পাহারায় তাদের মরদেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে আলাদা আলাদাভাবে চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জানান, ওই দুই নেতার পরিবারের ইচ্ছেতেই তাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। গ্রামে তাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে সে জন্য পুরো রাস্তায় র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রোববার সকালেই চট্টগ্রামের রাউজানে সাকা চৌধুরী এবং ফরিদপুরে মুজাহিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। একাত্তরে নির্বিচারে গণহত্যার এই দুই কাণ্ডারী নিজেদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাদের। শনিবার গভীর রাতে ফাঁসিতে ঝোলানোর পরপরই ভুক্তভোগী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটে। সারা বাংলাদেশজুড়ে যেন উত্সবের চেহারা নেয়। গণজাগরণ মঞ্চের নেতা থেকে সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এদিন তারা ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল বের করে শহিদ মিনারে জমায়েত হন। সেখানে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক চন্দন দাশ জানান, এই গণহত্যাকারীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু থেকে রায়দান পর্যন্ত গোটা ব্যাপারটাই ছিল বেশ কষ্টসাধ্য। তবে সালাউদ্দিন আর মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝোলানের জন্য সরকারকে ধন্যবাদও দেন তিনি। অন্যদিকে এই দুই নেতার ফাঁসিতে ক্ষুব্ধ তাদের সমর্থকরা। সোমবার দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তাই দেশজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সালাউদ্দিনের ছেলে হুম্মাম কাদের এ দিন অভিযোগ করেন, এই রায় অবৈধ। একজন নিরাপরাধ মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সালাউদ্দিনের শেষকৃত্যের সময় পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলেন রাউজানে। ২২ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে