নিউজ ডেস্ক : নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বিমানে নিহত ২৩ বাংলাদেশির লাশ স্বজনদের কাঠে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজার পর লাশ হস্তান্তর করা হয়। প্রথমে ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর বৈমানিক পৃথুলা রশীদের মরদেহ পরিবারের কাছে দেয়া হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৩টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাতদিন পর মৃতদেহগুলো পেয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিহত ২৩ জন হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে ২৩ বাংলাদেশির মরদহে দেশে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সোয়া চারটার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার। সেখান থেকে ১৯টি গাড়িতে করে লাশগুলো নেওয়া হয় আর্মি স্টেডিয়ামে।
সোমবার সকালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহত ব্যক্তিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এক সপ্তাহে গত সোমবার নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলার বিএস-২১১ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ৪৯ জন।
এমটিনিউজ/এসএস