মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮, ১১:২৩:১৪

৩৫ বছরের পুরনো রাডারেই চলছে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্যক্রম

৩৫ বছরের পুরনো রাডারেই চলছে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্যক্রম

নিউজ ডেস্ক : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম সেই ৩৫ বছরের পুরনো রাডার দিয়েই চলছে। ২০০৫ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ রাডার ক্রয়ের উদ্যোগ নিলেও অনিয়মসহ নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৩ বছরেও সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। এ সময়ে রাডারটির সংস্কার করা হলেও এর কার্যক্ষমতা কমে গেছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে অনেক বিমানেরই গতিপথ থেকে যাচ্ছে নজরদারির বাইরে।

নেপালে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর আলোচনায় আসে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ অবতরণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত নানা সীমাবদ্ধতার চিত্র। এই প্রেক্ষাপটে শাহজালাল বিমান বন্দরে উড়োজাহাজের পরিচালন ব্যবস্থা কতটা আধুনিক, চলে আসে সে প্রশ্নও।

বিশেষজ্ঞরা জানান, নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে রয়েছে নেভিগেশনাল নানা সুবিধা। তবে রাডারটি অনেক পুরনো হওয়ায় বিরূপ আবহাওয়ায় ব্যাহত হয় বিমান চলাচল। একই কারণে রাডারের দৃষ্টির বাইরে রয়ে যায় অনেক বিমান। তাই দ্রুত নতুন রাডার কেনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সিভিল এভিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, এই রাডারটা অনেক পুরনো। যদিও এটাকে কয়েকবার রিফার্বিশ করা হয়েছে তবুও এটা এখনকার সময়ের জন্য উপযোগী না। দক্ষিণ দিক দিয়ে অনেক এয়ারক্রাফট অনেক নিচে দিয়ে চয়ে যাচ্ছে আমাদের অজান্তেই কিন্তু আমরা সেগুলো দেখতে পাচ্ছি না। শীতের সময় কিন্তু ফ্লাইটগুলো দেরি হয় কারণ, রানওয়ে দেখতে পায় না।

এছাড়া শাহজালালে বিমান অবতরণ আরো সহজ করতে রানওয়ের লাইটিং এবং যান্ত্রিক অবতরণ পদ্ধতি বা আইএলএস ক্যাটাগরি- ২এ উন্নীত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। এতে পাইলট আরো দক্ষতার সঙ্গে উড়োজাহাজ অবতরণ করাতে পারবেন বলেন মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

গ্যালাক্সি ফ্লাইং ট্রেনিং একাডেমির সিইও উইং কমান্ডার নজরুল ইসলাম বলেন, লাইটং সিস্টেমটা আমরা এখনো সেভাবে উন্নতি করতে পারিনি বলে আইএলএস ক্যাটাগরি-১ এ এখনো আছে। আরও বেশি ল্যন্ডিং সিস্টেম আমরা পাবো।

আইএলএস ক্যাটাগরি টু-তে উন্নীত করা এবং নতুন রাডার ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশনের পরিচালক উইং কমান্ডার চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, একটা ফ্রেশ রাডার কেনার জন্য একটা প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। এটিএম সিস্টেমটাও করা হচ্ছে বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক সিস্টেমে। ওইটা হয়ে গেলে আমরা বলতে পারবো যে, বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার মতো এটিএম সিস্টেম আমাদের আছে।

এ অবস্থায় ফ্লাইট পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে নতুন রাডার কেনার পরামর্শ তাদের। উড়োজাহাজের মসৃণ অবতরণের জন্য ইনস্ট্রুরুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম-আইএলএস আরো উন্নত করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে