মঙ্গলবার, ০৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:৩৮:৪৪

ভোটের আগেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর

ভোটের আগেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর

মানিক মুনতাসির : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আরেক দফা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের আগে নতুন বেতন কাঠামো না এলেও মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি রয়েছে।

সেই কমিটি ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। যা খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। আর আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদে নতুন ২০১৮-১৯ বাজেট ঘোষণার সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সে ঘোষণার পর সংসদ নির্বাচনের আগে তারা মহার্ঘ্য ভাতা প্রাপ্য হবেন। এরপর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে নতুনভাবে বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবে। অর্থবিভাগের একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, আগামীতে সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য আর কোনো কমিটি গঠন করা হবে না।

এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি স্থায়ী সেল সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়াবে। এদিকে ‘সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও পরিবর্ধনের বিষয় পর্যালোচনা কমিটি’ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতার বিষয়ে যে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে তা শিগগিরই মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবে। সেটি অর্থমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সূত্র জানায়, কমিটির প্রতিবেদনে বেতন বাড়ানোর জন্য মূল্যস্ফীতির ভিত্তি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। গড় মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশ ছাড়ালেই সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে। এরপরও যদি মূল্যস্ফীতি বাড়ে অর্থাৎ ৬ শতাংশ বা ৭ শতাংশ, তখন কত শতাংশ বেতন বাড়বে তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিটি।

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। সে হিসাবে সরকারি চাকুরেদের বেতন আরেক ধাপ বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারি চাকুরেদের ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সারসংক্ষেপে অর্থমন্ত্রী নোটে লিখেছিলেন, এবারের বেতন-ভাতা নির্ধারণে লক্ষ্য ছিল এখন থেকে বেতন-ভাতা বাজারের সমতুল্য হবে। এ জন্য ভবিষ্যতে ৫ বছর পরপর আর কমিশন নিয়োগ করতে হবে না। এখন থেকে একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে বেতন-ভাতার বিষয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দেওয়া হবে।

সে অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করা হচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে ২০০৯ সালে বাড়ানো হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অন্তত পাঁচ বছর পর বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা থাকলেও এ বছর নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় আগাম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিডি প্রতিদিন

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে