বুধবার, ০৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:২৩:০০

বিমানে বিধ্বস্তে নিহত ফয়সাল ও নাজিয়ার মরদেহ বদলে গিয়েছিল

বিমানে বিধ্বস্তে নিহত ফয়সাল ও নাজিয়ার মরদেহ বদলে গিয়েছিল

ঢাকা: নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানে বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদের মরদেহ ওই দুর্ঘটনায় আরেক নিহত নাজিয়া আফরিন চৌধুরির পরিবারের কাছে এবং নাজিয়ার মরদেহ ফয়সালের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

দু’জনের পরিবারেরই দাবি, ভুলক্রমে এ ঘটনা ঘটেছিল। ফয়সালের ভাইয়ের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দিয়ে বলেছেন, আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে বলা হয়েছে, ফয়সালের মরদেহ হিসেবে তার পরিবারকে যে লাশ দেয়া হয় তা ফয়সালের নয়। ওই মরদেহ একই দুর্ঘটনায় আরেক নিহত নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ।

পরে ফয়সালের পরিবার নাজিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, ফয়সালের মরদেহ দাফন করা হয়েছে বনানী কবরস্থানে। আর নাজিয়ার মরদেহ দাফন করা হয় শরিয়তপুরের ডামুড্যা গ্রামে। উভয় পরিবারই ওই দুজনের লাশ তুলে পরস্পরের কাছে হস্তান্তর ও যার যার কবরস্থানে নতুন করে কবর দেয়ার আবেদন করেছেন। আদেশে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালের মরদেহ বনানী কবরস্থান থেকে তুলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ঢাকা জেলার নির্বাহী হাকিমকে বলা হলো। আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম ও নাজিয়ার ভাই আলী আহাদ চৌধুরী।

আর আদালতে ওই বিবিধ মামলা করেন নিহত ফয়সালের ভাই সাইফুল ইসলাম। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত ফয়সালের লাশটি উত্তোলন করার আদেশ দিলেন। সাইফুলের আইনজীবী ছিলেন আশরাফ-উল-আলম।

গত ১২ মার্চ নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি। এর কয়েকদিন পর ২০ মার্চ তাদের মরদেহ নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। ফয়সালের ভাই তাঁর আবেদনে বলেন, ২০ মার্চ তার ভাইয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন তার মামা কায়কোবাদ। শরীয়তপুরে গ্রামে নেয়ার পর জানাজা শেষে যখন কবর দেয়ার জন্য কফিন থেকে মরদেহ বের করলে দেখা যায়, এটি তাঁর ভাইয়ের মরদেহ নয়। মরদেহটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। সেখানে লেখা ছিল নাজিয়া আফরিন চৌধুরী। কিন্তু পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশঙ্কায় নাজিয়ার মরদেহ সেদিন সেখানেই দাফন করা হয়।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে