ঢাকা: ‘কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ইমরান এইচ সরকার ছাড়া অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাতে বাসায় বসে আমি আন্দোলনের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছিলাম। একপর্যায়ে ফেসবুকে দেখলাম একজন মারা গেছে। তখন আমি খুব আহত হই। তাৎক্ষণিক খবর নিলাম ঘটনাটা সত্য কিনা। এর মধ্যে দেখলাম, খবরটা ভাইরাল হয়ে গেছে। এটি কেন্দ্র করে গভীর রাতে ছাত্ররা আবার সমাবেত হতে থাকলো।
‘তাদের মুখে মুখে স্লোগান আসলো, ‘আমার ভাই মরলো কেনো?’
‘পরবর্তীতে দেখলাম, যার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়েছে সে নিজেই ফেসবুকে জানিয়ে দিলো যে, সে মরেনি। এটা মিথ্যা খবর। তিনি আরও বলেন, ‘এই যে ভুয়া তথ্য দিয়ে ছাত্রদের উত্তেজিত করা এবং গভীর রাতে ছাত্রদের সমাবেত করা- সবগুলো ঘটেছে, আমার মনে হয় মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে।’
‘যিনি করেছেন তাকে আমরা সনাক্ত করবো। তারপর আইসিটি আইনে মামলা হবে, পরিষ্কার কথা। কারণ এ ঘটনার পর অনেক কিছু ঘটেছে। গভীর রাত্রে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসেছে।’
সাংবাদিকরা এ সময় বলেন, গুজব ছড়ানো ব্যক্তি তো চিহ্নিত, ইমরান এইচ সরকার। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একা নন, আরও কয়েকজন থাকতে পারে। সবগুলোকেই আমরা দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তারা নাকি মারপিট করছে। কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ছাত্রলীগ মারপিটের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এসব অপপ্রচার চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তেজিত করার পরিকল্পনা ছিল।’
২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত
ইমরানের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আরো ২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট ও পেজও শনাক্ত করা হয়েছে; যেগুলো থেকে ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ও আন্দোলনে উসকানি দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
সূত্র বলছে, মৃত্যুর গুজব সবচেয়ে বেশি ছড়ানো হয়েছে ইমরান এইচ সরকারের ভেরিফায়েড পেজ থেকে। পেজটিতে সাড়ে ১৪ লাখের বেশি লাইকার রয়েছেন। ইমরান এইচের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন বলেও জানিয়েছে সূত্রটি। এসব বিষয়ে জানতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর গুজব ও উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া ২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট সাসপেক্ট করা হয়েছে।’
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি