বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫, ০৮:৩৬:৪৪

‘মেয়র এখন মাস্তান, ইউজ করুন’

 ‘মেয়র এখন মাস্তান, ইউজ করুন’

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, মেয়র এখন মাস্তান হয়ে গেছে। তাকে ইউজ করুন। আইন আছে, শুধু দরকার আইনের কঠোর প্রয়োগ। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বনানীর ‘বি’ ব্লকের ১৮ নম্বর রোডের বনানী ক্লাব ফিল্ডে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উপলক্ষে এ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘নিরাপদ নগরী, নির্ভয় নারী’ এ স্লোগানকে নিয়ে এ্যাকশনএইডসহ অন্যদের সঙ্গে সাতদিন রাস্তায় নামার অঙ্গীকার করেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বেড়ায় ক্ষেত খাওয়া বন্ধ করা গেলে অনেক সমস্যাই সমাধান করা যাবে। ক্লিন ঢাকা, সবুজ ঢাকা, যানজটমুক্ত ঢাকা ও নারী নির্যাতনমুক্ত ঢাকা গড়ার জন্য এরই মধ্যে অনেকগুলো কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো কাজ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে যেসব কাজ করা হয়েছে এবং যেসব কাজ চলমান তার খতিয়ান তুলে ধরেন মেয়র আনিসুল হক। মেয়র আনিসুল হক বলেন, মহানগর বর্জ্যমুক্ত করার জন্য প্রতি ওয়ার্ডের ৭২টি স্থানে বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী মার্চের মধ্যে এসব বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। জুনের পর বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য আর রাস্তায় বড় বড় কন্টেইনার দেখা যাবে না। তিনি বলেন, নিরাপদ ঢাকা বাস্তবায়নের জন্য গুলশান, বনানী ও বারিধারায় ১০০টির স্থলে নতুন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১০০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তর সিটি করপোরেশন পুলিশের জন্য একটি কন্ট্রোলরুম করে দেবে। আনিসুল হক বলেন, যানজটমুক্ত করার জন্য মে-জুন মাসের মধ্যে সাড়ে ৩৪ কিলোমিটার সড়ককে একমুখী করা হবে। ঢাকার রাস্তায় আগামী ৩ বছরের মধ্যে ৩০০০ নতুন অত্যাধুনিক এসি ও নন-এসি বাস নামানো হবে। বাসের ভেতরে যাতে ধাক্কা দিয়ে টিকিট করা না লাগে তার জন্য মর্ডান টিকিটিং ব্যবস্থার পত্তন করা হবে। বাস মালিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনকে শক্তভাবে ধরার কারণে স্বল্প সময়ে অনেক কাজ করা সম্ভব হয়েছে। এ কারণে বলা যায় মেয়র এখন মাস্তান। তাকে ইউজ করুন। স্থানীয় পর্যায়ে ‘বাল্যবিয়ে/শিশুবিয়ে বন্ধ করুন’ এবং জাতীয় পর্যায়ে ‘নারীদের জন্য নিরাপদ নগরী-সর্বজনীন স্থানে যৌন হয়রানি বন্ধ করুন’ এ শিরোনামের প্রতিরোধ পক্ষের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারীপক্ষের মেম্বার ইউএম হাবিবুন্নেসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির, জাহিদা ইস্পাহানী ও সিডো’র সাবেক চেয়ারপারসন সালমা খান, এ্যাক্টিভিস্ট মিম। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এ্যাকশনএইডের ফারাহ কবির। র‌্যালির মধ্যদিয়ে এ দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। ২৬ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে