বিএনপির পর এবার মেনন
নিউজ ডেস্ক : পৌরসভা নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির পর ওয়ার্কার্স পার্টিও নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে। দলটি মনে করছে, নির্বাচনের তফসিল আর কিছুদিন পিছিয়ে দেয়া দরকার। এ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে পাঠাবে।
দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তারা সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার সুযোগ রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট পৌর নির্বাচন অন্তত ১৫ দিন পেছানোর দাবি জানিয়েছে।
মেনন ও বাদশা তাদের বিবৃতিতে বলেন, দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো এ নির্বাচন হচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টি এটিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। এ ক্ষেত্রে দলগুলোকে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন নিজেও এ ব্যাপারে সঠিকভাবে প্রস্তুত নয়, সেটা তাদের আচরণে লক্ষণীয়। কমিশন এ নির্বাচন ও আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সামান্যতম মতবিনিময়ও করেনি। কেবল তা-ই নয়, পৌরসভা নির্বাচন, আচরণবিধি এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের বক্তব্যের মধ্যে অসংগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিএনপি শর্ত হচ্ছে ১৫ দিন পিছিয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করা। গ্রেপ্তার হওয়া দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সময়সীমা ৩০ ডিসেম্বর থেকে আরো ১৫ দিন পেছানোর শর্ত দেন তিনি। সেই সঙ্গে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে নতুন ৫০ লাখ তরুণ ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। তার তিনদিন আগে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো ভুঁইফোড় সংগঠনকে কার্ড না দেয়ার দাবি জানানো হয়। আসাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে এক জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। এতে করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকারদলীয় ক্যাডাররা হুমকি দিচ্ছেন। অনেক জায়গায় পাহারা বসানো হয়েছে। একাধিক জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার বিধান রাখার দাবি জানান।
নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন আছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে আসাদুজ্জামান বলেন, কমিশনের জনবল থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিএনপি মনে করে, সরকার জনগণকে কতটা তোয়াক্কা করে এ নির্বাচনে তার পরীক্ষা হবে।
২৭ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম